প্রণব সরকার, আগরতলা: বিজেপির (BJP) দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে ধুন্ধুমার কাণ্ড ত্রিপুরা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনে। মারামারি, ধাক্কাধাক্কিতে উত্তপ্ত পুরো আগরতলা। এমনকী, সংঘর্ষে আগ্নেয়াস্ত্র পর্যন্ত বেরিয়ে পড়ল। ভারতীয় ক্রিকেটে (Indian Cricket) যা নজিরবিহীন ঘটনা।
ত্রিপুরা ক্রিকেট (Tripura Cricket Association) সংস্থা বর্তমানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিকের অনুগামীদের দখলে রয়েছে। যদিও ওই সংস্থার দখল নিতে মরিয়া মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার (Manik Saha) অনুগামী গোষ্ঠী। দুই গোষ্ঠীর লড়াইয়ে শনিবার আগ্নেয়াস্ত্র পর্যন্ত বেরিয়ে পড়ে। গত বুধবার ত্রিপুরা ক্রিকেট সংস্থায় তালা ঝুলিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রীর গোষ্টীর নেতারা। অভিযোগ শনিবার সেই তালা ভেঙে অ্যাসোসিয়েশনের দখল নিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী গোষ্ঠীর নেতারা। এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর গোষ্ঠীর নেতারা অ্যাসোসিয়েশন কার্যালয়ে ঢুকতে চাইলে তাদের উপর রীতিমতো হামলা চালানো হয়। আহত হয়েছেন প্রাক্তন রঞ্জি ক্রিকেটার তথা ত্রিপুরা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি তিমির চন্দ্র। তিনি জানিয়েছেন, তাঁকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। অল্পবিস্তর আঘাত পেয়েছেন ত্রিপুরা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সচিব তাপস ঘোষও।
দু’পক্ষকে সামলাতে গিয়ে পুলিশকে হিমশিম খেতে হয়। শাসকগোষ্ঠীর অভিযোগ, পিস্তল নিয়ে তাঁদের বাধা দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, ত্রিপুরা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তপন লোধ জানিয়েছেন, সচিবকে অফিসে ঢুকতে দেওয়া হবে না। কারণ তাঁর বিরুদ্ধে অর্থ তছরুপের অভিযোগ রয়েছে। দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষের মধ্যেই এক যুবকের হাতে দেখা যায় আগ্নেয়াস্ত্র। সব মিলিয়ে ত্রিপুরা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনে এখন অচলাবস্থা ।
ত্রিপুরা ক্রিকেট সংস্থার অচলাবস্থায় ক্রিকেটারদের ভবিষ্যৎ নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। গত মরশুমেই বাংলা ছেড়ে ত্রিপুরায় খেলতে গিয়েছেন ঋদ্ধিমান সাহা। তেমনই বাংলার আরেক প্রাক্তন ক্রিকেটার সুদীপ চট্টোপাধ্যায়ও ত্রিপুরা দলে রয়েছেন। আবার ক্রিকেটের উন্নতিতে ল্যান্স ক্লুজনারকে কোচ করে এনেছেন ত্রিপুরা ক্রিকেটের কর্তারা। স্বাভাবিকভাবেই এদের সবার ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.