সৌরাশিস লাহিড়ী: লেখার শুরুতে একটা কথা প্রথমেই বলে নিতে চাই। মহেন্দ্র সিং ধোনি আজও এক বিস্ময়ের নাম। একচল্লিশেও! জানি, অনেকে বলবেন চেন্নাইকে তো জেতাল রাহানে-জাদেজা। জাদেজা (Ravindra Jadeja) তিন উইকেট (৩-২০) নিল। রাহানে মারমার-কাটকাট ব্যাটিং (২৭ বলে ৬১, সাতটা চার, তিনটে ছয়) করে এবারের আইপিএলে দ্রুততম হাফসেঞ্চুরি করে গেল। ১৮.১ ওভারে খেলা শেষ হয়ে গেল। তা হলে ধোনিকে কৃতিত্ব দিচ্ছি কেন? মনে রাখবেন, চেন্নাই যা যা মাঠে করে, সবই কোনও না কোনও ভাবে ‘ধোনি এফেক্ট’।
রাহানে দিয়ে শুরু করি। ও যে কত বড় ব্যাটার, সেটা বলার প্রয়োজন নেই। কিন্তু একজন ক্রিকেটারের কাছে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হয় স্বাধীনতা। যেটা ধোনি নিঃশর্ত ভাবে দিয়ে থাকে। ধোনি জানত, ওয়াংখেড়েকে কেউ যদি সবচেয়ে বেশি ভাল জানে, চেনে তা হলে সেটা রাহানে। গোটা ঘরোয়া মরশুম ধরে যে কি না মুম্বইয়ের অধিনায়কত্ব করেছে।
রাহানে (Ajinkya Rahane) খেলেছেও অবিশ্বাস্য। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স পেসার আর্শাদ খানকে একটা ছয়ের সঙ্গে পরপর চারটে চার মারল। একটা বাউন্ডারি তো অসামান্য স্ট্রেট ড্রাইভে! সেই ওভারে ২৩ রান নিল রাহানে। এবারের আইপিএলে দ্রুততম হাফসেঞ্চুরি করে গেল (১৯ বলে)। কিন্তু তার পরেও বলব, জেসন বেহরেনডর্ফকে মারা রাহানের ব্যাকফুট পাঞ্চগুলো চোখে লেগে থাকবে। একজন ব্যাটারের জাত বোঝা যায়, তার ব্যাকফুট প্লে দেখে।
এরপর চেন্নাই বোলিংয়ে আসুন। খেলা শুরুর সময়ই হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে দীপক চাহার বেরিয়ে গেল। সেই অবস্থা থেকে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে ওয়াংখেড়েতে ১৫৭ রানে আটকে রাখা কিন্তু সহজ কাজ নয়। গত ম্যাচে চেন্নাই পেসারদের ‘নো’ বল করা নিয়ে ক্ষোভ দেখিয়েছিল ধোনি (MS Dhoni)। আজ দেখলেন একটাও নো বল? বরং তুষার দেশপাণ্ডে স্বপ্নের ডেলিভারিতে বোল্ড করে দিল রোহিতকে (২১)। জাদেজা-স্যান্টনাররা টানা স্টাম্প টু স্টাম্প বোলিং করে গিয়েছে। বললাম তো, এ সমস্ত স্ট্র্যাটেজি করতে হলে অধিনায়ককে তুখোড় হতে হয়।
আর একচল্লিশেও কী ফিটনেস! সূর্যকুমারের (১) যে ক্যাচটা ধরল বিদ্যুৎগতিতে, অসামান্য ফিটনেস না থাকলে হয় না। আম্পায়ার আউট দিল না দেখে নিখুঁত রিভিউ নিয়ে সূর্য ‘শিকার’ করল ধোনি। চ্যাম্পিয়ন আর কাকে বলে?
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.