রাজর্ষি গঙ্গোপাধ্যায়: যিনিই নির্বাচক, তিনিই ফিটনেস পরীক্ষক! অর্থাৎ, যিনি দল নির্বাচন করবেন, তিনিই আবার দলের প্লেয়ারদের ফিটনেস নিয়ে রিপোর্ট দেবেন! বাংলা ক্রিকেটে এ জিনিস পূর্বে কখনও দেখা যায়নি। বাংলা ক্রিকেটে কখনও একজন নির্বাচককে ‘দ্বৈত’ ভূমিকা পালন করতে দেখা যায়নি। যা এবার করবেন রণদীপ মৈত্র। বাংলার নতুন সিনিয়র নির্বাচক কমিটিতে রয়েছেন যিনি। প্রখ্যাত ফিটনেস ট্রেনার হিসেবে যিনি পরিচিত।
এটা ঘটনা যে, বাংলার নির্বাচক কমিটিতে রণদীপের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে ভ্রূ কুঁচকোচ্ছে ময়দানের একাংশ। কেউ কেউ ‘অপটিক্সের’ কথা তুলছেন। বলছেন, এ জিনিস ভালো দেখাবে কি? কারণ, রণদীপ যতই অতীতে বাংলার হয়ে খেলে থাকুন, তাঁর প্রধান পরিচিতি দক্ষ ফিটনেস ট্রেনার হিসেবে। লোকে কী বলবে? কিন্তু বাস্তবটা আলাদা। প্রথমত, নির্বাচক কমিটিতে থাকার যে শর্ত তা পূরণ করেছেন রণদীপ। গোটা পাঁচেক প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন তিনি বাংলার জার্সিতে। দ্বিতীয়ত, সত্যিই বাংলায় আর তেমন প্রাক্তন প্লেয়ার নেই, যাঁদের নির্বাচক হিসেবে ভাবা যেতে পারে! যার নেপথ্য কারণ–লোধা আইন। লোধা আইন অনুপাতে কেউ একবার নির্বাচকের মেয়াদ সম্পূর্ণ করে ফেললে, আবার ঘুরে আসতে পারবেন না ভবিষ্যতে। বলা হল, প্রাক্তন ক্রিকেটারদের মধ্যে থেকে নতুন কাউকে নির্বাচক হিসেবে খুঁজে বার করা ক্রমশ নাকি কঠিন হয়ে পড়ছে। যে সমস্ত প্লেয়ারের আবার অর্থ-যশ-খ্যাতি কিছুটা বেশি, তাঁরা বিভিন্ন অ্যাসাইনমেন্ট নিয়ে বাইরে চলে যাচ্ছেন। সিএবি করবে কী?
অতএব–রণদীপ ও তাঁর ‘দ্বৈত’ ভূমিকা। শোনা গেল, রণদীপকে দ্বৈত ভূমিকায় আনার পরিকল্পনা সিএবি প্রেসিডেন্ট স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়েরই। মঙ্গলবার স্নেহাশিস বলছিলেন, ‘‘রণদীপকে নির্বাচক করার সুবিধে হল, ও যেমন মাঠে থাকবে, তেমনই আমাদের প্লেয়ার ফিটনেস নিয়ে রিপোর্ট দিতে পারবে। এটা তো ঘটনা যে প্লেয়ারের ফিটনেস নিয়ে রণদীপের জ্ঞান বিশাল। একসঙ্গে দু’টো কাজ ও করতে পারবে। ধরা যাক, কোনও প্লেয়ার সত্যি ভালো। কিন্তু সে ফিটনেস সমস্যায় ভুগছে। রণদীপ সেটা সঙ্গে সঙ্গে জানাতে পারবে আমাদের।’’
সত্যি, অভিনব বটে!
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.