সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মেলবোর্নে হেরে প্রবল সমালোচিত রোহিত শর্মা। উলটো দিকে অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্স উইকেট তুলছেন, রান করছেন। সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। সেখানে রোহিতের ব্যাটে রান নেই। তিন টেস্ট মিলিয়ে সংগ্রহ মাত্র ৩১ রান। নেতৃত্বও যেন দিশাহীন দেখাচ্ছে। বক্সিং ডে টেস্টে হেরে যে ‘মানসিকভাবে বিপর্যস্ত’, তা স্বীকার করে নিতে বাধ্য হলেন রোহিত।
ম্যাচ শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে রোহিত বলেন, “গোটা বিষয়টাই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছি। যা করতে চাইছি, তার কিছুই ঠিকঠাক হচ্ছে না। আমি হতাশ। দল হিসেবে অনেক কিছুই আমাদের শুধরে নিতে হবে। তবে এখনও তো ম্যাচ বাকি আছে। আমরা যদি সিডনিতে ভালো খেলি, তাহলে সিরিজ ড্র করতে পারব। সেটাও খারাপ হবে না।”
অথচ প্রথম টেস্টে বুমরাহর নেতৃত্বে পারথে জয় পেয়েছিল টিম ইন্ডিয়া। তারপরই যেন খেই হারিয়েছে। সিডনি টেস্ট তো অনেক দূরের কথা। আগে তো মেলবোর্ন টেস্ট হারের ময়নাতদন্ত দরকার। চাপের মুখে কেন ভেঙে পড়ল ব্যাটিং? রোহিত অবশ্য বলছেন, “কতটা লক্ষ্য রয়েছে, সেটা ভেবে আমরা খেলিনি। আগেও যেমন করেছি, এবারও ভিত মজবুত করেই এগোতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ঋষভের আউটের পরই সেই কাজটা কঠিন হয়ে যায়। উইকেট বড্ড ধীরগতির হয়ে যাচ্ছিল। যখন আমাদের হাতে সাত উইকেট ছিল, তখনও আমরা বেশি কিছু ভাবিনি। কিন্তু অস্ট্রেলিয়া খুব ভালো বল করেছে।”
ঋষভের আউট হওয়ার ভঙ্গি নিয়ে আগেই সরব হয়েছেন গাভাসকর। এবার রোহিত বলছেন, “ফলাফল নিয়ে আমরা সবাই হতাশ। আমি আর কী বলব? পন্থের নিজের বোঝা উচিত ওর কী করা উচিত। বাকিদের আর বলার দরকার নেই। অতীতে ও আমাদের সাফল্য এনে দিয়েছে। অধিনায়ক হিসেবে আমার মধ্যে মিশ্র অনুভূতি হচ্ছে। যখন সাফল্য আসে, আমরা তো তখন সমর্থন করি। কিন্তু সেটা না এলে বিরক্ত লাগে। কোথাও একটা ভারসাম্য থাকা দরকার। কতটা ঝুঁকি নেওয়া দরকার? এই নিয়ে পন্থের সঙ্গে আগেও কথা হয়েছে। কিন্তু কতটা বলব, আর কতটা বলব না, তারও তো একটা সূক্ষ্ম সীমারেখা দরকার।”
সেই সঙ্গে জশপ্রীত বুমরাহর ‘ওয়ার্কলোড’ নিয়েও ভাবছেন রোহিত। প্রশংসা করছেন শুভমান গিলের। কিন্তু যাই বলুন না কেন, সিডনিতে ব্যাটে ও নেতৃত্বে সফল না হলে, চাপ যে আরও অনেক বাড়বে, সেই দেওয়াল লিখন নিশ্চয়ই পড়তে পারছেন রোহিত শর্মা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.