স্টাফ রিপোর্টার: গত আর্থিক বছরে উত্তরাখণ্ড ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের (Uttarakhand Cricket Association) অডিট রিপোর্ট এরকম, খাবারের খরচ ১ কোটি ৭৪ লক্ষ ৭ হাজার ৩৪৬ টাকা। ক্যাটারিং ৪৯ লক্ষ ৫৮ হাজার ৭৫০ টাকা। জলের বোতলের বিল ২২ লাখ। কলা কেনার খরচ ৩৫ লক্ষ। কিন্তু দৈনিক ভাতা হিসাবে ক্রিকেটারদের দেওয়া হচ্ছে মাত্র একশো টাকা। হ্যাঁ, ঠিকই পড়ছেন মাত্র একশো টাকা। এটাও শোনা গেল, গত এক বছর ধরেই নাকি এরকম হয়ে আসছে।
এই খবর প্রকাশিত হওয়ার পরই দেশের ক্রিকেট মহল জুড়ে হইচই পড়ে গিয়েছে। টিম ম্যানেজারকে প্রশ্ন করলে ক্রিকেটাররা উত্তর পান, ‘আরে, কেন তোমরা বারবার একই প্রশ্ন করছ? টাকা চলে আসবে। ততক্ষণ তোমরা সুইগি, জোম্যাটো থেকে আনিয়ে নাও না।’ উত্তরাখণ্ডের ক্রিকেটাররা বুঝে উঠতে পারছেন না, তাঁদের এই দুর্দশা কবে কাটবে? ক্রিকেটারদের যা দৈনিক ভাতা দেওয়া হচ্ছে, তা এখন একজন দিনমজুরও পান না। এসবের মধ্যেই মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে কোয়ার্টার ফাইনালে ৭২৫ রানের রেকর্ড ব্যবধানে হারতে হয়েছে তাঁদের। যা মানসিকভাবে আরও বিধ্বস্ত করে দিয়েছে ক্রিকেটারদের।
স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে দিয়েছে–ক্রিকেটারদের সঙ্গে কোনও অ্যাসোসিয়েশন কীভাবে এরকম করতে পারে? এটাও বলা হচ্ছে, এরপর তো আর কেউ সেই রাজ্যের হয়ে ক্রিকেট খেলতে চাইবে না। সাধারণত উত্তরখণ্ডের সিনিয়র ক্রিকেটারদের দৈনিক ভাতা হিসাবে দেড় হাজার টাকা করে দেওয়া হত। মাঝে সেটা কমে নাকি হাজার হয়েছিল। পরে আবার সেটা বেড়ে দু’হাজার হয়। কিন্তু এখন হাজার কেন, পাঁচশো টাকাও পাচ্ছেন না ক্রিকেটাররা। বরাদ্দ মাত্র একশো টাকা।
এমনিতে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (BCCI) বিশ্বের ধনীতম বোর্ড। রাজ্য ক্রিকেট সংস্থাগুলির হাতেও এখন অঢেল টাকা। তা সত্ত্বেও উত্তরাখণ্ডের ক্রিকেটাররা এভাবে বঞ্চিত হচ্ছেন কেন? আবার খাবারের বিল বা কলা কেনার বিলের সঙ্গে ক্রিকেটারদের ভাতার এই বিরাট পার্থক্যই বা কেন? এসব নিয়েও প্রশ্ন উঠছে! এখন এই ব্যাপারে কোনও পদক্ষেপ করে কি না, সেটাই দেখার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.