Advertisement
Advertisement

Breaking News

Bhawanipore Club

সিএবি লিগের পর প্রথম ডিভিশন ওয়ানডে খেতাব চ্যাম্পিয়ন ভবানীপুর, হাতছানি ত্রিমুকুটের

ইডেনে প্রথম ডিভিশন ওয়ানডে ফাইনালে রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে বড়িশাকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন ভবানীপুর।

bhawanipore club beats barisha sporting to become champion of cab first division one day meet

সিএবি ওয়ানডে মিট চ্যাম্পিয়ন ভবানীপুর।

Published by: Arpan Das
  • Posted:June 7, 2024 10:32 pm
  • Updated:June 7, 2024 10:38 pm  

স্টাফ রিপোর্টার : রাজকুমার পাল উইনিং শটটা নেওয়ার পরই পুরো ভবানীপুর টিম মাঠে ঢুকে পড়ল। ইডেনে প্রথম ডিভিশন ওয়ানডে’তে রুদ্ধশ্বাস ফাইনালে বড়িশাকে হারিয়ে চ‌্যাম্পিয়ন ভবানীপুর (Bhawanipore Club)। লিগ জয়ের পর এবার ওয়ানডে খেতাবও জিতল ভবানীপুর। এদিনের ফাইনালের পরতে পরতে ছিল নাটক। কখনও মনে হচ্ছিল ভবানীপুর সহজে জিতবে। পরক্ষণের আবার এমন নাটকীয় পরিস্থিতির তৈরি হয়ে হয় যে বড়িশা সুবিধেজনক জায়গায় চলে যায়।
প্রথমে ব‌্যাট করতে নেমে শুরুটা দুরন্ত করেছিল বড়িশা। আইপিএলে বেশ ভাল পারফর্ম করে এসেছেন অভিষেক পোড়েল। শুরু থেকে এদিন মারমার কাটকাট ব‌্যাটিং করে গেলেন। অভিষেকের ৮২ বলে ১১৬ রানের ইনিংসটা সাজানো রইল এগারো বাউন্ডারি আর পাঁচটা ছয় দিয়ে। মূলত অভিষেকের ব‌্যাটিং দাপটেই তিরিশ ওভারের মধ্যে দু’শো রান তোলে বড়িশা। প্রিয়াঙ্ক প‌্যাটেল ৫৩ করেন। বড়িশা ৩১৩ অলআউট হয়ে যায়। আমির গোনি তিন উইকেট নেন।

[আরও পড়ুন: কোটি-কোটি টাকা বেতন রোহিত-বিরাটদের, বছরে কত পান বাবরদের হারানো মার্কিন ক্রিকেটাররা?]

রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা বিধ্বংসী করে ভবানীপুরের দুই ওপেনার। ওপেনার উভেস আহমেদ আর বিবেক সিং। ওপেনিং পার্টনারশিপে ১৪ ওভারে ১৪১ ওঠে। তখন মনে হচ্ছিল অনায়াসে ম‌্যাচ বের করে নেবে ভবানীপুর। উভেস আউট হওয়ার পর ম‌্যাচের পরিস্থিতি একেবারে বদলে যায়। নিয়মিত উইকেট হারাতে থাকে ভবানীপুর। চাপ বেড়ে যায় বহুগুণ। একটা সময় ২১৭/৬ হয়ে যায় তাদের। কিন্তু এই ভবানীপুর টিমের সবচেয়ে বড় গুণ হল চাপের মধ্যেও কখনও প‌্যানিক বাটনে হাত দেয় না। ওরকম চাপের পরিস্থিতিতেও মাথা ঠাণ্ডা রেখে ব‌্যাট করে গেলেন গোনি আর জেসল কারিয়া। 

Advertisement

সেমিফাইনালে মোহনবাগানের বিরুদ্ধেও একইরকম চাপের পরিস্থিতি দুরন্ত ইনিংস খেলেছিলেন জেসল। এদিনও তাই। সঙ্গে গোনিও দুরন্ত ইনিংস উপহার দিয়ে যান। শেষবেলার ফের টুইস্ট। জেসল আউট হলেন ৪৯ করে। গোনি (৩৭) যখন আউট হলেন তখনও ভবানীপুরের জয়ের জন‌্য নয় বলে ১১ রান দরকার। শেষটা করলেন রাজকুমার (৯ বলে ১৬ নঃআঃ)। সেমিফাইনালেও রাজকুমার খুব দরকারি ইনিংস খেলেছিলেন। এদিনের তাঁর ইনিংসও মহামূল‌্যবান। সবমিলিয়ে লিগের পর ওয়ান ডে’তে জয়। আগেও ভবানীপুর ট্রফি পেয়েছে। কিন্তু একই মরশুম দুটো ট্রফি কখনও আসেনি।

[আরও পড়ুন: টস ছাড়াই হবে নামী প্রতিযোগিতা, দুদফায় রনজি! ছবি বদলাচ্ছে ঘরোয়া ক্রিকেটের]

তবে এখানেই শেষ নয়। আরও একটা ট্রফি বাকি। জেসি মুখার্জির টি-টোয়েন্টির সেমিফাইনালে উঠে রয়েছে ভবানীপুর। পুরো টিমও বলে দিল যা উৎসব করার, সেটা ত্রিমুকুট জয়ের পর হবে। তার আগে নয়।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement