Advertisement
Advertisement
Ranji Trophy

‘ইডেন ফাইনালে আমরাই এগিয়ে’, সেমিতে জিতে একান্ত সাক্ষাৎকারে বাংলা অধিনায়ক মনোজ

ইডেনে প্রথম বার রনজি ফাইনাল খেলবেন মনোজরা।

Bengal Captain Manoj Tiwari confident ahead of Ranji Trophy Final | Sangbad Pratidin
Published by: Sulaya Singha
  • Posted:February 13, 2023 2:06 pm
  • Updated:February 13, 2023 2:06 pm

তিন বছর পর আবার রনজি ফাইনালে বাংলা। এবার ফাইনাল সৌরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে, আগামী বৃহস্পতিবার থেকে ইডেনে। পারবে বাংলা রনজি জয়ের দীর্ঘ খরা কাটাতে? ইন্দোরে মধ‌্যপ্রদেশকে ওড়ানোর পর ফোন সাক্ষাৎকারে যা বললেন বাংলা অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি

প্রশ্ন: মনোজ, চার নম্বর রনজি ফাইনালের সামনে দাঁড়িয়ে আপনি। এটা কি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রনজি ফাইনাল আপনার? আপনি তো বলেছিলেন যে, এবার রনজি জিতলে অবসর নিয়ে নিতে পারেন।
মনোজ: ঠিক, এটা জীবনের অন‌্যতম গুরুত্বপূর্ণ রনজি ফাইনাল। আমি আগে বলেছিলাম যে, এবার রনজি জিতলে আমি অবসর নিয়ে নিতে পারি। কিন্তু আমার পুরো টিম, বিশেষ করে কোচ লক্ষ্মীদা (লক্ষ্মীরতন শুক্লা) আমাকে বলেছে খেলা চালিয়ে যেতে। বলেছে আমার মধ‌্যে এখনও খেলা বেঁচে আছে। তাই হুট করে ছেড়ে দেওয়া ঠিক হবে না। আবার ভাবতে হবে। স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে দেখি।
প্রশ্ন: রনজি ফাইনালে আবার সৌরাষ্ট্র। জয়দেব উনাদকটকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে ভারতীয় টিম থেকে। তিনি ফাইনাল খেলবেন। শেষবার বাংলা যখন রনজি ফাইনাল খেলে, প্রতিপক্ষ সৌরাষ্ট্রই ছিল। এবারও তাই।
মনোজ: এ বছর একদম প্রথম থেকে মন বলছে, আমরা চ‌্যাম্পিয়ন হব। আর সেই বিশ্বাসটা এসেছে টিমের সামগ্রিক পারফরম‌্যান্স দেখে। তাছাড়া ফাইনাল ঘরের মাঠে। ইডেনে আমরা সবসময় বিপক্ষের চেয়ে একধাপ এগিয়ে থাকি।

Advertisement

[আরও পড়ুন: বিয়ের পরই নবান্নে কিয়ারা! রাতভর বলি সুন্দরীকে নিয়ে আজব স্বপ্ন দেখলেন শ্রীলেখা মিত্র]

প্রশ্ন: ফাইনালে তাহলে বাংলা এগিয়ে?
মনোজ: দেখুন, সৌরাষ্ট্র ভাল টিম। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে, রনজিতে ওরা কিন্তু প্রায় নিয়মিত ফাইনাল-সেমিফাইনাল খেলে। এবারও রনজি সেমিফাইনালে কী অসাধারণ ভাবে কর্ণাটকের বিরুদ্ধে কামব‌্যাক করে ফাইনালে উঠল! কিন্তু আমার অবজার্ভেশন যদি বলেন, একটু মন্থর পিচে ওরা বেশি স্বচ্ছন্দ। তাই কিছুটা অ‌্যাডভান্টেজ আমাদের। কিন্তু তার পরেও বলব, সব নির্ভর করছে সেই নির্দিষ্ট দিনে আমরা কেমন খেলছি তার উপর।
প্রশ্ন: মধ‌্যপ্রদেশ ম‌্যাচে ফিরি। আপনাকে রনজি সেমিফাইনালে খুব চার্জড দেখিয়েছে মাঠে। কারণটা কী?
মনোজ: তেতে থাকাটা দরকার ছিল, বাড়তি তাগিদের প্রয়োজন ছিল। আর অধিনায়ক হিসেবে আমাকে সেটা সর্বপ্রথম দেখাতে হত। চান্দু স‌্যরকে (চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত) বহু দিন দেখছি, জানি উনি কী করতে পারেন। আমি ভাবতাম যে, উনি কী এমন করেন, যা আমি পারি না? চান্দু স‌্যরকে অসম্মান করছি না। উনি বিরাট কোচ। কিন্তু আমি দেখেছিলাম যে, বিপক্ষের ভুলভ্রান্তি ওঁর প্ল‌্যানকে কার্যকর করতে সাহায‌্য করে। তাই ঠিক করি, ওঁর স্ট্র‌্যাটেজির ফাঁদে পা দেব না। গত সেমিফাইনালে একটা সেশন খারাপ খেলে আমরা হেরে গিয়েছিলাম। তাই এবার ঠিক করি যে, ভুল করব না। প্রথম ইনিংসে সহজে উইকেট দেব না।

প্রশ্ন: প্রায় সাড়ে পাঁচশোর টার্গেট নিয়েও এদিন একটা সময় পর্যন্ত ওভার পিছু পাঁচ রান করে তুলছিল মধ‌্যপ্রদেশ।
মনোজ: জানতাম, ওরা সেটা করবে। কারণ ওদের কোচের নাম চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত। জানতাম উনি বলবেন, যাও গিয়ে এই ম‌্যাচও জেতার চেষ্টা করো। কিন্তু আমি ভাবিনি অত।
প্রশ্ন: একটা কথা বলুন। টিমটা যে একযোগে এবার ঝাঁপাচ্ছে, সেটাই কি মনোজ তিওয়ারির এই বাংলার সবচেয়ে বড় এক্স ফ‌্যাক্টর? কেউ না কেউ তো রোজ খেলছেন। অনুষ্টুপ, সুদীপ, আপনি, আকাশ, মুকেশ, অভিষেক।
মনোজ: অবশ‌্যই। দেখবেন, একটা টিম যখন চ‌্যাম্পিয়ন হয়, তার আট-ন’টা প্লেয়ার একসঙ্গে দারুণ খেলে বলে হয়। আমাদের রুকুর (অনুষ্টুপ মজুমদারের ডাকনাম) সাড়ে সাতশো প্লাস রান। অভিমন‌্যুর তাই। আমার চারশো রান আছে। শাহবাজের আছে। বোলাররা তো দারুণ করছে।
প্রশ্ন: তার পরও অধিনায়ককে তুখোড় হতে হয়। যে ক‌্যাপ্টেন্সি আপনি করছেন, সবাই ধন‌্য ধন‌্য করছে। বিশেষ করে আপনার ফিল্ড প্লেসিং, পেসার ম‌্যানেজমেন্ট।
মনোজ: ক‌্যাপ্টেন্সি আলাদা করে চোখে পড়ার কারণও আছে। এই টিমের প্রায় সবাইকে আমি প্রথম দিন থেকে চিনি। অনুষ্টুপের কথাই ধরুন। মাঝে রেলওয়েজের হয়ে খেলত। বাদ পড়ে গেল। দাদি (সৌরভ গঙ্গোপাধ‌্যায়) তখন সিএবি প্রেসিডেন্ট। দাদিকে বললাম, আমার রনজিতে অনুষ্টুপকে চাই, ওর অভিজ্ঞতাকে চাই। আজ দেখুন। টিমের প্রলিফিক রান স্কোরার ও। বোলারদের মধ‌্যে আকাশ, ঈশান, মুকেশ কী দারুণ বোলিং করছে। আর আধিনায়ক হিসেবে আমি নিত‌্য শিখি, উন্নতির নতুন নতুন পথ খুঁজি। সিদ্ধান্তগুলো ঠিকঠাক নিতে চাই। কারণ মনে করি, সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারলে ম‌্যাচ নব্বই শতাংশ জেতা হয়ে যায়।

[আরও পড়ুন: এত চোট কেন? রোহিত-বিরাটদের সমস্যা খতিয়ে দেখতে নতুন সিস্টেম চালু BCCI-এর]

প্রশ্ন: শেষ প্রশ্ন। ইডেনে প্রথম বার রনজি ফাইনাল খেলবেন। আবেগ টের পাচ্ছেন না?
মনোজ: এখনও বুঝতে পারছি না। মঙ্গলবার প্র‌্যাকটিসে যাব, তখন বুঝতে শুরু করব। দেখুন, অতীতে বারবার বলেছি, আমার স্বপ্ন বাংলার হয়ে রনজি জেতা, আজও তাই বলব। তবে এই সাক্ষাৎকারের মাধ‌্যমে বাংলার ক্রীড়াপ্রেমীদের বলতে চাই, আপনারা সবাই রনজি ফাইনালে মাঠে আসুন। আমাদের সমর্থন করুন। তাতে আমরা আরও ভাল খেলব।

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement