সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর্থিক মন্দার বাজারে বড়সড় সুখবর পেল বিসিসিআই(BCCI)। ১০ বছরের পুরনো দুর্নীতি মামলায় জয় হল ভারতীয় বোর্ডের। ফলে একটি এসক্রো অ্যাকাউন্টে পড়ে থাকা প্রায় সাড়ে ৮০০ কোটি টাকা এবার নিজেদের কাজে লাগাতে পারবে বিসিসিআই।
২০১০ সালে আইপিএল কমিশনার থাকাকালীন ললিত মোদি (Lalit Modi) ভারত ছাড়া বাকি বিশ্বে টুর্নামেন্টের সম্প্রচার স্বত্বের জন্য ওয়ার্ল্ড স্পোর্টস গ্রুপের সঙ্গে চুক্তি করেছিলেন। প্রায় ৮০০ কোটি টাকার সেই চুক্তিটি হয়েছিল পুরোপুরি বিসিসিআইকে অন্ধকারে রেখে। চুক্তির বিষয়টি পুরোপুরি একাই দেখছিলেন তৎকালীন আইপিএল কমিশনার ললিত মোদি। এমনকী, আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিলকেও সেই চুক্তির বিষয়ে জানানোর প্রয়োজন বোধ করেননি তিনি। পরে World Sports Group-এর সঙ্গে ললিত মোদির এই চুক্তিতে দুর্নীতির গন্ধ পান তৎকালীন বোর্ড সচিব এন শ্রীনিবাসন। সেসময়ের বিসিসিআই সিইও সুন্দর রমণের সঙ্গে আলোচনার পর, তিনি World Sports Group-এর কাছ থেকে আইপিএল সম্প্রচারের স্বত্ব কেড়ে নেন। পরে ললিত মোদিকেও দুর্নীতির অভিযোগে আইপিএল কমিশনারের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। বোর্ডের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে সম্প্রচারকারী সংস্থা World Sports Group।
প্রায় ১০ বছর পর সেই মামলার নিস্পত্তি করল সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত ট্রাবুন্যাল। তিন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির ট্রাইবুন্যালে World Sports Group-এর সঙ্গে বিসিসিআইয়ের চুক্তিভঙ্গের সিদ্ধান্ত বহাল রাখা হয়েছে। সেই সঙ্গে জানানো হয়েছে, এসক্রো অ্যাকাউন্টে (তৃতীয় কোনও ব্যক্তি বা ট্রাস্টের জিম্মায়) থাকা ৮০০ কোটি টাকা ৭ বছরের সুদ-সহ ব্যবহার করতে পারবে ভারতীয় বোর্ড। অর্থাৎ, মন্দার বাজারে প্রায় ৮৫০ কোটি টাকা চলে এল বোর্ডের হাতে। শুধু তাই নয়, ললিত মোদি যে দুর্নীতি করেছিলেন, সেই অভিযোগেও একই সঙ্গে সিলমোহর পড়ে গেল। সেই সঙ্গে প্রমাণ হয়ে গেল তৎকালীন বোর্ড সচিব শ্রীনিবাসন ললিত মোদিকে পদ থেকে সরিয়ে সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছিলেন। ট্রাবুন্যালে জয়ের পর বিসিসিআইয়ের আইনজীবী ললিত মোদির বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা শুরুর আবেদন জানিয়েছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.