Advertisement
Advertisement

Breaking News

BCCI

‘এবার একাধিপত্য শুরু হবে’, বোর্ড নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরই ফুঁসে উঠলেন বিচারপতি লোধা

সুপ্রিম রায়ের ফলে আসল উদ্দেশ্যই সাধিত হবে না, বললেন বিচারপতি লোধা।

BCCI was waiting for right time, says reform panel head Lodha | Sangbad Pratidin
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:September 15, 2022 4:49 pm
  • Updated:September 15, 2022 4:57 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিসিসিআইয়ের গঠনতন্ত্র নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরই কার্যত ফুঁসে উঠলেন প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি এম আর লোধা (MR Lodha)। বোর্ডে স্বচ্ছতা আনতে যাঁর নেতৃত্বে একগুচ্ছ সংস্কার হয়েছিল, সেই বিচারপতি বলছেন, শীর্ষ আদালতের নতুন এই সিদ্ধান্তের ফলে তাঁর নেতৃত্বে যে কমিশন বসেছিল, সেটার আসল উদ্দেশ্যই ব্যাহত হবে। আবারও বিসিসিআইতে (BCCI) একাধিপত্য চলবে।

২০১৬ সালে বিচারপতি লোধা যে সংস্কারের প্রস্তাব দিয়েছিলেন, সেই শর্ত অনুযায়ী, চলতি বছরই বোর্ড প্রশাসনে মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছিল সৌরভ-জয়ের (Jay Shah)। কারণ বিচারপতি লোধার সুপারিশ করা নিয়ম অনুযায়ী, বোর্ড, রাজ‌্য বা বোর্ড-রাজ‌্য দুটো মিলিয়ে পরপর দুটো ‘টার্ম’ (তিন বছর করে ছ’বছর) থাকার উপায় ছিল না প্রশাসকদের। মাঝে তিন বছরের ‘কুলিং অফে’ যাওয়ার ব‌্যাপার ছিল। কিন্তু বুধবার সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি হিমা কোহলির রায়ের পর এখন থেকে প্রশাসকরা রাজ‌্য ক্রিকেট সংস্থা ও বোর্ড মিলিয়ে বারো বছর টানা ক্রিকেট প্রশাসনে থাকতে পারবেন। তার পর তিন বছরের কুলিং অফ প্রযোজ‌্য হবে। আর এই বারো বছরের মেয়াদে ছ’বছর রাজ‌্যে এবং ছ’বছর বোর্ডে থাকা যাবে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: এবার আইসিসির পথে সৌরভ, বোর্ডের মসনদে জয় শাহ? সুপ্রিম রায়ের পরই শুরু জল্পনা]

এই সিদ্ধান্তের ফলে বর্তমানে বিসিসিআইয়ের শীর্ষপদে থাকা সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly), জয় শাহরা আরও ৩ বছরের জন্য বোর্ডের শীর্ষপদে থাকতে পারবেন। এমনকী, রাজ্য ক্রিকেট সংস্থার কর্তারাও চাইলে দুটো টার্ম রাজ্য সংস্থায় থাকার পর চলে যেতে পারবেন বিসিসিআইতে। আর এতেই ক্ষুব্ধ বিচারপতি লোধা। তিনি বলছেন,”এই কুলিং অফ পিরিয়ডটা আসলে ক্রিকেট প্রশাসকদের জন্য বড়সড় বরফের পাহাড়ের মতো। যেটা ওরা টপকাতে পারছিল না। ওরা শুধু অপেক্ষা করছিল সঠিক সময়ের। ২০১৬, ২০১৮ এবং ২০২২ প্রতিবার এমনই হয়।”

[আরও পড়ুন: নাম জড়িয়েছিল ম্যাচ গড়াপেটায়, রুজিরুটির জন্য বেচতেন জুতো, প্রয়াত সেই পাক আম্পায়ার]

বিচারপতি লোধার সাফ কথা,”আমরা চেয়েছিলাম কুলিং-অফের মাধ্যমে বোর্ডে নতুন রক্তের আমদানি করতে। সুপ্রিম কোর্ট হয়তো কাজের সুবিধার কথা ভেবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু এর ফলে একাধিপত্য তৈরি হবে। আর যদি কাজের সুবিধার কথাই বলা হয়, তাহলে আর কুলিং অফ রাখার কী দরকার। ১২ বছর পরে কুলিং অফ করে কী লাভ। এই ব্যাপারটি পুরোপুরি তুলে দেওয়া হোক।” বিসিসিআইয়ের সংস্কারের পথিকৃৎ বলছেন, যে কোনও সংস্থায় দীর্ঘদিন কেউ ক্ষমতায় থাকলে একাধিপত্য তৈরি হতে বাধ্য।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement