স্টাফ রিপোর্টার: ভারতীয় বোর্ডের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য সাংবাদিক সম্মেলনে বিষোদগার করার পর ভারতীয় বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly) যে বিরাট কোহলিকে শোক কজ করবেন, সেই খবর সর্বপ্রথম বেরিয়েছিল ‘সংবাদ প্রতিদিন’-এ। বিরাটের বিস্ফোরক সাংবাদিক সম্মেলনের দিনই। এ দিন তাতে সিলমোহর পড়ে গেল। ভারতীয় বোর্ডের (BCCI) এক কর্তা বলে দিলেন, বিরাটকে শো কজ করা প্রায় একপ্রকার ঠিকই করে ফেলেছিলেন সৌরভ। সে সময় তাঁকে বুঝিয়েশুনিয়ে নিরস্ত করেন বোর্ড সচিব জয় শাহ (Jay Shah)।
ঘটনার সূত্রপাত, কোহলির (Virat Kohli) ওয়ানডে অধিনায়কত্ব চলে যাওয়া নিয়ে। টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব ছাড়ার পর কোহলি বলেছিলেন যে, তিনি ওয়ানডে ক্যাপ্টেন্সি চালিয়ে যেতে চান। কিন্তু বোর্ড তাঁকে ওয়ানডে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেয়। বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বলে দেন, বিরাটকে বারণ করা হয়েছিল টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব ছাড়তে। কিন্তু তিনি শোনেননি। যার পর নির্বাচকদের মনে হয়েছে, সাদা বলের ক্রিকেটে দু’জন অধিনায়ককে নিয়ে চলা সম্ভব নয়।
দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে উড়ে যাওয়ার আগে সাংবাদিক সম্মেলনে বিরাট ঠিক তার উলটো কথা বলেন। কোহলি বলে দেন, বোর্ড একবারও তাঁকে বলেনি টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব না ছাড়তে। শুধু তাই নয়, তাঁর ওয়ানডে অধিনায়কত্ব যে যাচ্ছে, সেটাও নাকি জানানো হয় দল নির্বাচনের দিন মাত্র ঘণ্টা দেড়েক আগে। প্রকারান্তরে বোর্ড প্রেসিডেন্টকে ‘মিথ্যেবাদী ‘বলে দেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক।
কোহলির সেই বিস্ফোরক সাংবাদিক বৈঠকের পর ভারতীয় ক্রিকেটে এক মুষলপর্ব শুরু হয়ে যায়। বিবৃতি-পালটা বিবৃতিতে ক্রিকেট মহল যখন সরগরম তখন সৌরভ যার পর ঠিক করে ফেলেছিলেন, শোকজ করবেন বিরাটকে। বোর্ডের সদস্যদের সঙ্গেও যা নিয়ে তাঁর কথা হয়। কিন্তু বোর্ডের বাকি সদস্যরা সৌরভকে বুঝিয়েসুঝিয়ে শোকজ করা আটকান। বিসিসিআই প্রেসিডেন্টকে বোঝানো হয়, দক্ষিণ আফ্রিকার মতো গুরুত্বপূর্ণ সিরিজ চলাকালীন অধিনায়ককে শোকজ করলে তার বিরূপ প্রতিক্রিয়া হতে পারে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.