সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অবশেষে ভাগ্যদেবী সহায় হলেন এস শ্রীসস্থের প্রতি। কলঙ্কের দাগ মুছে শীঘ্রই বাইশ গজে ফিরতে চলেছেন ভারতীয় ক্রিকেটার। কারণ তাঁর শাস্তি কমিয়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন বিসিসিআইয়ের ওম্বুডসম্যান বিচারপতি ডি কে জৈন।
২০১৩ সালের আইপিএলে ম্যাচ গড়াপেটায় নাম জড়িয়েছিল শ্রীসস্থ-সহ তিন ক্রিকেটারের নাম। তারপর দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর আদালতে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করেছিলেন ২০১১ বিশ্বজয়ী দলের সদস্য শ্রীসস্থ। কিন্তু বিসিসিআই তাঁকে খেলার অনুমতি দেয়নি। ফলে এতকাল বাইশ গজের বাইরেই থাকতে হয়েছে পেসারকে। কিন্তু এবার ভাগ্যের চাকা ঘুরতে চলেছে। শ্রীসন্থের আজীবন নির্বাসনের শাস্তি কমিয়ে সাত বছর করে দিয়েছেন ডি কে জৈন। আর সেই হিসেবে তাঁর শাস্তির মেয়াদ শেষ হতে চলেছে আগামী বছর ১৩ সেপ্টেম্বর।
Justice DK Jain, Ombudsman BCCI: …the date from which, the period of ban imposed by the Disciplinary Committee had commenced, will meet the ends of justice. (2/2)(07.08.2019) https://t.co/ZFOprLtOGE
— ANI (@ANI) August 20, 2019
বিসিসিআইয়ের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি শ্রীসন্থকে আজীবন নির্বাসনের শাস্তি দিয়েছিল। কিন্তু চলতি বছর শুরুর দিকে সুপ্রিম কোর্ট বোর্ডের ওম্বুডসম্যানকে পেসারের শাস্তি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছিল। সেই মতো এবিষয়ে হস্তক্ষেপ করেন ডি কে জৈন। আর শেষমেশ দক্ষিণী ক্রিকেটারের শাস্তি কমানোর সিদ্ধান্ত নেন। তিনি জানান, তদন্তে সম্পূর্ণ সাহায্য করেছেন শ্রীসন্থ। তাছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ ছিল, তার প্রভাব আইপিএলে পড়েনি। জনপ্রিয় এই টুর্নামেন্টের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়নি। এমনকী মাঠ ও মাঠের বাইরে শ্রীসন্থের বিরুদ্ধে যে খামখেয়ালী আচরণের অভিযোগ তোলা হয়েছিল, তাও প্রমাণ করতে পারেনি বিসিসিআই।
ওম্বুডসম্যানের রেকর্ডে বলা হয়েছে, “পেসার হিসেবে কেরিয়ারের অনেকটা সময় চলে গিয়েছে শ্রীসন্থের। ২০১৩ সালের ১৩ সেপ্টেম্বরের পর থেকে কোনও প্রকার ক্রিকেটে এবং বিসিসিআই সংক্রান্ত কোনও কাজের অংশ হতে পারেননি তিনি। সেই শাস্তি শেষ ২০২০ সালে।” অর্থাৎ এই মেয়াদ শেষ হলেই সব ফরম্যাটের ক্রিকেটে খেলতে পারবেন তিনি। তবে এই নির্দেশের সঙ্গে দিল্লি হাই কোর্টে তাঁর বিরুদ্ধে চলা অপরাধমূলক মামলার কোনও সম্পর্ক নেই বলেও স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.