ফাইল ছবি
স্টাফ রিপোর্টার: আসন্ন ইংল্যান্ড সিরিজের বারোটা ম্যাচের মধ্যে সাত-সাতটাই আহমেদাবাদে। মোট তিনটে কেন্দ্রর মধ্যে ভাগাভাগি হয়ে গিয়েছে বারোটা ভারত-ইংল্যান্ড ম্যাচ। তিনটে ওয়ানডে হবে পুণেতে। দু’টো টেস্ট চেন্নাইয়ে। এবং দু’টো টেস্ট ও পাঁচটা টি-টোয়েন্টি আহমেদাবাদে। ভারত-ইংল্যান্ড (India-England) সিরিজের ভেন্যু নির্বাচন নিয়ে অসন্তোষ সৃ়ষ্টি হয়ে গিয়েছে ভারতীয় বোর্ডমহলে।
বেশ কয়েকটা রাজ্য ক্রিকেট সংস্থা ক্ষুব্ধ। মুম্বই ক্রিকেট সংস্থা যেমন। মুম্বই ক্রিকেট কর্তারা রীতিমতো স্তব্ধ বোর্ডের এ হেন কেন্দ্র নির্বাচনে। তাঁরা বুঝতে পারছেন না কোন যুক্তিতে আমদাবাদ সাতটা ম্যাচ পেয়ে গেল, এবং তাঁরা একটাও পেলেন না! ক্ষুব্ধ ভাবে বলা হচ্ছে, ভারতীয় ক্রিকেটের মক্কা মুম্বই (Mumbai)। অথচ গত চার বছরে তারা একটাও টেস্ট ম্যাচ পায়নি। সেখানে আহমেদাবাদ দু’টো টেস্ট-সহ সাতটা ম্যাচ পেয়ে গেল! যা ভারতীয় ক্রিকেটে অভূতপূর্ব।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর ভারতীয় বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly) ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে, ফেব্রুয়ারি-মার্চের ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজের ম্যাচ পেতে পারে মুম্বই এবং কলকাতা। কিন্তু সূচি প্রকাশের পর দেখা যায়, মুম্বই বা কলকাতা, কেউই কোথাও নেই। যা নিয়ে সিএবি (CAB) প্রেসিডেন্ট অভিষেক ডালমিয়া বিবৃতি দিয়ে বলেন যে, সিএবি আশা করেছিল ইংল্যান্ড সিরিজের ম্যাচ তারা পাবে। এ ব্যাপারে বোর্ড প্রেসিডেন্টকে জিজ্ঞাসাও করেছিলেন সিএবি কর্তারা। সৌরভ তখন সিএবি প্রেসিডেন্টকে বলেন যে, করোনার কারণে বড়জোর তিনটে কেন্দ্রের মধ্যে সিরিজটা করতে হবে। জৈব সুরক্ষা বলয় করে। পরে সিএবি নিশ্চয়ই পাবে ম্যাচ। মুম্বই তুলনায় অনেক বেশি আক্রমণাত্মক। সংস্থার কর্তারা ‘জবাবদিহি’ চাইছেন বোর্ডের কাছ থেকে। তাঁরা জানতে চান, ঠিক কোন যুক্তিতে এ ভাবে ‘ব্রাত্য’ করে রাখা হল মুম্বইকে? মুম্বই এগজিকিউটিভ কমিটির সদস্য মুম্বই ক্রিকেট সংস্থার (MCA) কাছে চিঠি লিখে বলেছেন, মুম্বইয়ে দেশের সেরা হোটেল আছে। তিনটে স্টেডিয়াম আছে। অনান্য সার্ভিসেও তারা দেশের সেরা। শুধু তাই নয়, করোনার প্রকোপ থেকে হালফিলে ভাল রকম প্রত্যাবর্তন ঘটাচ্ছে মুম্বই। তা হলে কেন মুম্বই ম্যাচ পাবে না? চিঠিতে এটাও লেখা হয়েছে যে, স্বয়ং বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় মুম্বইয়ের ম্যাচ পাওয়ার ব্যাপারে বলেছিলেন। তা হলে রাতারাতি কী হয়ে গেল?
কোনও কোনও বোর্ড (BCCI) কর্তা আবার পুণেকে তিনটে ওয়ান ডে দেওয়ার নেপথ্যে নির্বাচনী রাজনীতির গন্ধও পাচ্ছেন। বলা হচ্ছে, মহারাষ্ট্র ক্রিকেট সংস্থার এখন টাকার প্রয়োজন। তাদের দু’টো বড় পেমেন্ট করতে হবে। একটা আবার গাহুঞ্জে স্টেডিয়াম নির্মাণের কারণে। ইংল্যান্ড সিরিজের তিনটে ম্যাচ পেয়ে যাওয়া মানে ইন স্টেডিয়াম বিজ্ঞাপন থেকে প্রচুর অর্থ আসবে। তা ছাড়া বোর্ডের তরফ থেকে আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজন বাবদ এক কোটি টাকা পেয়ে থাকে আয়োজক সংস্থা। এঁদের মতে, তাই পুণেকে তিনটে ওয়ান ডে দিয়ে দেওয়া। এবং বদলে আসন্ন বোর্ড বার্ষিক সভায় যদি ভোটাভুটির পরিস্থিতি হয়, তখন এমসিএ-র আনুগত্য বর্তমান প্রশাসনের দিকেই থাকবে। পরিস্থিতি যা, তাতে আগামী ২৪ ডিসেম্বরের বোর্ড বার্ষিক সভায় না এ সব নিয়ে ঝড় ওঠে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.