সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বঙ্গবন্ধুর ছায়ার সঙ্গে লড়াই করছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার! এবার খেলার মাঠ থেকেও উৎখাত করার চেষ্টা মুজিব এবং তাঁর পরিবারকে! ঢাকার ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের নামও বদলে দিল ইউনুস প্রশাসন। ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের নতুন নাম হচ্ছে জাতীয় স্টেডিয়াম, ঢাকা।
বাংলাদেশের প্রথম সারির সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, অন্তর্বর্তী সরকারের ক্রীড়া পরিষদের সচিব আমিনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই নামকরণের কথা বলা হয়েছে। বস্তুত ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকারের ঘোষিত নীতি, ‘বাংলাদেশের ক্রীড়াক্ষেত্রে কোনও স্টেডিয়াম বা কোনও সৌধের নাম ওই পরিবারের নামে থাকবে না।’ গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার বেশ কিছু স্টেডিয়ামের নাম বদল করেছে। দিন দুই আগেই উপজেলা পর্যায়ে ১৫০টি স্টেডিয়ামের নাম বদল হয়েছে। তবে জাতীয় পর্যায়ের কোনও স্টেডিয়ামের নাম বদল এই প্রথম।
১৯৫৪ সালে প্রতিষ্ঠিত এই স্টেডিয়াম শুরুতে ঢাকা স্টেডিয়াম নামে পরিচিত ছিল। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতার আসার পর ১৯৯৮ সালে স্টেডিয়ামটির নামকরণ করা হয় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম। ১৭ বছরের ব্যবধানে ইউনুস সরকার আবার ঢাকার স্টেডিয়াম থেকে ‘বঙ্গবন্ধু’ নাম মুছে তাঁর লিগ্যাসি অস্বীকার করার চেষ্টা করল।
বহু ঐতিহাসিক ম্যাচের স্বাক্ষী এই বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম। শুরুতে এই মাঠে ক্রিকেট-ফুটবল দুই খেলাই হতো। অন্য ক্রীড়া প্রতিযোগিতারও আয়োজন হয়েছে। ২০০০ সালে বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট হয়েছিল এই মাঠেই। দুই টেস্টের সিরিজ়ে মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। ১৯৯৮ সালে প্রথম বার আইসিসি নকআউট কাপের আয়োজন করে বাংলাদেশ। সেটাই বাংলাদেশে আয়োজিত প্রথম আইসিসি টুর্নামেন্ট। সেই প্রতিযোগিতাও হয়েছিল এই মাঠে। ২০১১ সালে ক্রিকেট বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানও হয়েছিল এই বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামেই। এই মাঠে খেলে গিয়েছেন মহম্মদ আলি, লিওনেল মেসিরাও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.