সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হারের মুখে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থা থেকে দলকে জিতিয়েছেন। ক্রিকেটমহলে ধন্য ধন্য হচ্ছে সেই আশুতোষ শর্মাকে নিয়ে। কিন্তু একটা সময়ে এই আশুতোষই প্রবল অবসাদে ভুগছিলেন। রীতিমতো যুদ্ধ করতে হয়েছিল মানসিক সমস্যার সঙ্গে। আর দিল্লি ক্যাপিটালসের তারকা ব্যাটারের এহেন বেহাল দশার কারণ নাকি ছিলেন কেকেআর কোচ চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত!
লখনউয়ের বিরুদ্ধে ২১০ রানের লক্ষ্য ধাওয়া করতে গিয়ে দুই ওভারের মধ্যে ৭ রানে ৩ উইকেট হারিয়েছিল দিল্লি। সেখান থেকে কামব্যাকের লড়াই শুরু করেন ত্রিস্তান স্টাবস ও আশুতোষ শর্মা। ১৫ বলে ৩৯ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে যান ভিপরাজ নিগম। তিনি আউট হয়ে গেলেও আশুতোষের তাণ্ডব অব্যাহত থাকে। ইমপ্যাক্ট হিসেবে নামা ব্যাটার ৩১ বলে ৬৬ রান করে অপরাজিত থাকেন।
আইপিএলের ইতিহাসে রান তাড়া করতে নেমে ৭ নম্বর বা তার পরে নামা কোনও ভারতীয় ব্যাটারের এটাই সর্বোচ্চ রান। ২০০৯ সালে রাজস্থানের হয়ে ইউসুফ পাঠান দিল্লির বিরুদ্ধে ৬২ রান করেছিলেন। আশুতোষ সেটাকেও ছাপিয়ে গেলেন। তবে এই তালিকায় সবার উপরে আছেন ক্যারিবিয়ান তারকা ডোয়েন ব্র্যাভো। ২০১৮ সালে মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে ৬৮ রান করেছিলেন সিএসকে’তে খেলা ক্রিকেটার। লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে আশুতোষ যে ইনিংসটা খেলেছেন, সেটা আইপিএলের ইতিহাসে অন্যতম সেরা বলে মনে করছেন ক্রিকেটবোদ্ধারদের একাংশ।
কিন্তু একটা সময়ে অবসাদে ভুগতেন আশুতোষ। তিনি বলেন, “মধ্যপ্রদেশে নতুন একজন কোচ এসেছিলেন। আমি ট্রায়ালের সময়ে ৪৫ বলে ৯০ রানেরও বেশি করেছিলাম কিন্তু তারপরেও দল থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়। তারপর থেকে খালি জিমে যেতাম আর হোটেলে ফিরে আসতাম। আমার ভুলটা কোথায়, সেটা কেউ বলার প্রয়োজন মনে করেনি। অথচ তার আগের মরশুমেই সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে ৬টা ম্যাচ খেলে তিনটে হাফসেঞ্চুরি করেছিলাম। কিন্তু পরের মরশুমে আমাকে মাঠে পর্যন্ত যেতে দেওয়া হত না।” কোনও কোচের নাম অবশ্য উল্লেখ করেনি আশুতোষ। তবে ক্রিকেটমহলের মতে, তিনি হলেন চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত। ‘মিলিটারি শাসন’ করার ঢঙে তিনি টিম চালান, এমন অভিযোগ উঠেছে বহুবার। আশুতোষের তিরও কি তাঁর দিকে?
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.