সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিনি প্রতিভাবান। বল হাতে তাঁর দক্ষতা নিয়ে কোনও প্রশ্ন নেই। আইসিসির সেরা উদীয়মান তারকা হিসাবে মনোনয়নও পেয়েছেন। কিন্তু এসব সত্ত্বেও ছোট্ট আন্তর্জাতিক কেরিয়ারে ভালমন্দ দুটোই দেখেছেন অর্শদীপ সিং (Arshdip Singh)। তার একমাত্র কারণ ডিসিপ্লিনের অভাব। সেটা ফিল্ডিংয়েই হোক, আর রান আপেই হোক। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এশিয়া কাপের ম্যাচে ক্যাচ ছাড়াই হোক, বা পরপর নো বল করা। যেটা তিনি করলেন শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টি-২০ ম্যাচে। লজ্জার নজির গড়লেন ভারতীয় পেসার।
শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে পাঁচটি নো বল করলেন অর্শদীপ। তার মধ্যে নো বলের হ্যাটট্রিকও রয়েছে। ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারে পরপর তিনটি নো বল করেন তিনি। যা এর আগে আর কোনও ভারতীয় বোলার করেননি। সেই ওভারের শেষ বলেই আবার নো বল করে বসেন বাঁহাতি পেসার। শেষ ওভারে গিয়েও নো বল করেছেন অর্শদীপ। সব মিলিয়ে তিনি এক ম্যাচে পাঁচটি নো বল করেছেন। যার জেরে একটি উইকেটও নষ্ট হয়েছে তাঁর। আইসিসির (ICC) পূর্ণ সদস্য দেশগুলির মধ্যে এক ম্যাচে পাঁচটি নো বল করার নজির রয়েছে আর মাত্র একজন বোলারের। তিনি নিউজিল্যান্ডের হামিশ রাদারফোর্ড।
কার্যত অর্শদীপের এই লজ্জার কীর্তিই ভারতকে হারিয়ে দিল দ্বিতীয় ম্যাচ। ভারতীয় পেসার এত নো বল না করলে শ্রীলঙ্কাকে সম্ভবত ২০০ রানের নিচেই আটকে রাখা যেত। অর্শদীপের এই নো বল করা নিয়ে এদিন ক্ষেপে লাল হয়ে গিয়েছিলেন অধিনায়ক হার্দিক পাণ্ডিয়াও (Hardik Pandya)। ম্যাচ শেষ তিনি যেমন বলেই দিলেন, “আগেও ও অনেক নো বল করেছে। আমি ওকে আলাদা করে দোষ দিতে চাই না। তবে নো বল করাটা একটা অপরাধ।” হার্দিক স্পষ্ট বলে দিচ্ছেন, এই ‘বুনিয়াদি ভুল’গুলি বারবার করা যায় না। এটা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট।
শুধু হার্দিক কেন, প্রাক্তনরাও অর্শদীপের কাণ্ডে অখুশি। গাভাসকর যেমন বলেই দিচ্ছেন, পেশাদার ক্রিকেটারদের থেকে এগুলো মেনে নেওয়া যায় না। নো বল না করাটা তোমারই হাতে। বল করার পর ব্যাটার সেটাকে মারল কিনা, সেটা পরের পরের ব্যাপার। কিন্তু নো বলটা নিয়ন্ত্রণ করতেই হবে। আসলে শুধু অর্শদীপ নন, দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে নো বল করেছেন মাভি এবং উমরান মালিকও (Umran Malik)। তাতেই বিরক্ত প্রাক্তনরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.