সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অ্যান্ড্রু সাইমন্ডসকে দুর্ঘটনার কবলে পড়তে দেখেই ছুটে গিয়েছিলেন। গাড়ি থেকে তাঁকে বের করার আপ্রাণ চেষ্টাও করতে থাকেন। প্রাক্তন অজি অলরাউন্ডারের পালস্ও চেক করেছিলেন। কিন্তু সেভাবে সাড়া পাননি। তারকার জীবনের শেষ মুহূর্ত এভাবেই ব্যাখ্যা করলেন ওয়েলন টাউনসন নামের এক ব্যক্তি। তিনিই এই ভয়ংকর দুর্ঘটনার প্রথম প্রত্যক্ষদর্শী।
ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান সাইমন্ডস (Andrew Symonds Passes Away)। প্রাক্তন অজি তারকার অকালপ্রয়াণে শোকস্তব্ধ বিশ্ব ক্রিকেট মহল। অস্ট্রেলিয়ার (Australia) ক্যুইন্সল্যান্ডের টাউন্সভিলা এলাকায় কীভাবে ঘটল এই দুর্ঘটনা? তদন্তে নেমে উত্তর খুঁজছে পুলিশ। আর তদন্তে ইতিমধ্যেই প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান পেয়েছেন তাঁরা। সঙ্গে আরও জানতে পারেন, গাড়িতে সাইমন্ডসের সঙ্গে ছিল দুই পোষ্য কুকুরও। দুর্ঘটনায় তারা বেঁচে যায়। এদের মধ্যে একজন সাইমন্ডসকে ছেড়ে কিছুতেই নড়তে চাইছিল না।
টাউন্সভিলা এলাকার বাসিন্দা ওয়েলনের স্মৃতিতে একেবারে টাটকা সাইমন্ডসের দুর্ঘটনার স্মৃতি। এক সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানান, “গাড়ির মধ্যে আটকে পড়েছিলেন সাইমন্ডস। তাঁকে বের করার আপ্রাণ চেষ্টা করি। এরপর CPR দেওয়া হয়। পালস্ও চেক করি। কিন্তু সেভাবে সাড়া পাইনি।” ওয়েলনের পার্টনারের মুখেও শোনা যায় একই কথা। তিনি বলেন, “আমার পার্টনার যখন সাইমন্ডসকে বাঁচানোর চেষ্টা করছিল, তখন তারকার জ্ঞান ছিল না। সাড়া দিচ্ছিলেন না।” এরপরই তিনি জানান, সাইমন্ডসের সঙ্গে থাকা এক সারমেয় কিছুতেই সেখান থেকে নড়তে চাইছিল না। ওকেও সরানোর চেষ্টা করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু মালিক বিপদে পড়েছে বুঝতে পেরে সেখানেই বসেছিল সে।
পুলিশ জানিয়েছে, মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানোর কোনও প্রমাণ তারা পায়নি। তবে সাইমন্ডসের গাড়িটি ধাক্কা খেয়ে উলটে যাওয়ার আগে কেন আচমকা দিক পরিবর্তন করেছিল, সেই বিষয়টি এখনও তাদের কাছে স্পষ্ট নয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.