দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: বিশ্বজয় করে ঘরে ফিরলেন তিতাস সাধু (Titas Sadhu)। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে অনূর্ধ্ব ১৯ টি-টোয়েন্টি (ICC Women’s T-20 World Cup) বিশ্বকাপ জিতেছে ভারত। ঘরের মেয়ে ঘরে ফেরার পরে উৎসবে মাতল চুঁচুড়ার মানুষ।
ফাইনালের সেরা তিতাস সাধু বৃহস্পতিবার বিকেলে চুঁচুড়ার বাড়িতে ফিরতেই তাঁর ঠাকুমা ধান-দুর্বা দিয়ে আশীর্বাদ করেন। বরণ করে নেন তিতাসকে। বিকেলে বাড়িতে ঢুকেই খেলার কিট রেখে তিতাস সোজা চলে আসেন রাজেন্দ্র স্মৃতি সংঘের মাঠে। এখানেই নিয়মিত প্র্যাকটিস করেন তিতাস। খুদে ক্রিকেটাররা তাদের প্রিয় দিদিকে দেখার অপেক্ষায় অনেক আগে থাকতেই মাঠে ভিড় জমিয়েছিল। তিতাস মাঠে ঢুকতেই তাঁকে ঘিরে ধরে খুদে ক্রিকেটাররা। সবার একটাই কথা, তিতাস হতে চায় তারা। খুদেদের সঙ্গে কিছুক্ষণ কাটিয়ে তিতাস স্থানীয় চায়ের দোকানে তার সাধের প্রিয় বিস্কিট কেনেন। চায়ের দোকানদারও ভাবতে পারেননি বিশ্বজয়ের পর বিস্কিটের জন্য তিতাস তাঁর দোকানে ছুটে আসবেন। তিতাসের স্বপ্ন ভারতীয় সিনিয়র মহিলা দলের হয়ে দেশের প্রতিনিধিত্ব করা।
ঝুলন গোস্বামীর সঙ্গে তাঁর তুলনা প্রসঙ্গে সোজাসাপটা জবাব, ”ওঁর মতো হতে গেলে অনেক দূর যেতে হবে।” সামনে মহিলাদের আইপিএল টুর্নামেন্ট। এই টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়ার প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, এখনই সে সব নিয়ে তিনি কিছু ভাবছেন না। নিলামে সুযোগ পাওয়ার পরেই খেলার বিষয়ে ভাববেন। বিশ্বকাপে দুরন্ত জয়ের গোপন চাবিকাঠি কী? এই প্রশ্নের উত্তরে তিতাস বলেন, “আমরা প্রত্যেকেই চাইতাম একা জেতাব দেশকে। সকলের ওই চিন্তা যখন একত্রিত হয়, তখনই সেটা সম্ভব হয়।”
তিতাসের দুরন্ত স্পেলের জন্যই ভারত বিশ্বকাপ জিতেছে, এ কথায় গুরুত্ব দিতে নারাজ বিশ্বজয়ী দলের সদস্যা। তাঁর কথায়, শুধু দুরন্ত বোলিং স্পেল নয়, দুরন্ত ফিল্ডিংও ভারতকে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ক্ষেত্রে অনেকটাই এগিয়ে দিয়েছে।”
অনেকদিন বাদে ঘরে ফিরে খুশি তিতাস। তিনি জানান, এখন কয়েকটা দিন পরিবারের সঙ্গে কাটাতে চান। অন্যদিকে বাবা রণদীপ সাধু জানান, ”সামনে ইন্টার জোনাল টুর্নামেন্ট আছে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.