Advertisement
Advertisement

Breaking News

বিস্ময় বালক

পাঁচ বছরেই ২২ গজে কামাল, কভার ড্রাইভে চমকে দিচ্ছে ‘বিস্ময় বালক’ শুভজিৎ

ছেলের নেট প্র্যাকটিস দেখার জন্য ভিড় জমান প্রতিবেশীরা।

5-year-old Kharagpur kid shows exceptional cricketing skills
Published by: Subhamay Mandal
  • Posted:January 23, 2020 4:44 pm
  • Updated:January 23, 2020 4:44 pm

অংশুপ্রতিম পাল, খড়্গপুর: পাঁচ বছরেই কভার ড্রাইভ, স্ট্রেট ড্রাইভ বা স্টেপ আউট করে বল পাঠাচ্ছে একেবারে গ্যালারিতে। ডিউসে মিডিয়াম পেস সামলে তাক লাগাচ্ছে একরত্তি শুভজিৎ৷ তবে হ্যাঁ, বাউন্সার সামলানোটা এখনও রপ্ত করতে পারেনি সে।

হ্যাঁ, গল্প মনে হলেও সত্যি। ছয় মাস বয়সে অন্নপ্রাশনের সময়ে বাবা একটি ডিউস বল উপহার দিয়েছিলেন ছেলে শুভজিৎকে৷ পরিবার, প্রতিবেশিরা তো বটেই৷ শুভজিতের মাও বিরক্ত হয়েছিলেন বাবা হিমাংশুর এমন আদিখ্যেতা দেখে৷ আজ সেই প্রতিবেশী থেকে এলাকার মানুষ নেটের বাইরে ভিড় জমান শুভজিতের ব্যাটিং দেখার জন্য। আর ছেলের প্রতিভা দেখে প্রায় সাত লক্ষ টাকা খরচ করে বাবা হিমাংশু দোলুই বানিয়ে দিয়েছেন প্র্যাকটিস নেট, পিচ। রাতের আলোতে খেলার অভ্যাস গড়ে তোলার জন্য মিনি মাস্ট আলো। খড়গপুর শহর থেকে সাত কিমি দূরে খড়গপুর হাওড়া রেলশাখার জকপুর স্টেশন। সেই স্টেশনের গা ঘেষে খড়গপুর গ্রামীণের রাধানগর গ্রাম। সেখানেই শুভজিতের নিবিড় অনুশীলন৷ কী অবলীলায় শিশুটি সামলাচ্ছে লেগ কিংবা অফ কাটার, স্পিন থেকে শুরু করে ঘণ্টায় ১২০ কিমি বেগের পেস আক্রমণ।

Advertisement

বাবা হিমাংশু দোলুইয়ের স্বপ্ন ছিল বড় ক্রিকেটার হওয়ার৷ কিন্তু আর্থিক কারণে তা পারেননি। অল্প বয়সেই কাজ নিতে হয়েছিল সোনার দোকানে৷ সেই উপার্জন থেকেই একটু একটু করে টাকা জমিয়েছেন নিজের অধরা স্বপ্ন ছেলের মাধ্যমে পূরণ করার৷ স্বপ্ন দেখেন ছেলে বিরাট কোহলির মত ক্রিকেটার হবেন৷ সমাজসেবী নান্টু দোলুইও সাধ্যমতো ভাই ও ভাইপোর পাশে দাঁড়িয়েছেন৷ আড়াই বছর আগে ভালভাবে দাঁড়াতে পারার আগেই অনুশীলন শুরু হয়েছিল শুভজিতের৷ বল করতেন বাবাই। নিয়ম করে প্রতিদিন দুই থেকে আড়াই ঘণ্টার অনুশীলন চলে দিনে ও রাতে। ছেলেকে প্র্যাকটিস দেওয়ার জন্য হিমাংশু নিজেও বোলিংয়ের জন্য রীতিমতো চর্চা করেন৷

Advertisement

তিনি জানালেন, “প্রথম প্রথম শরীরে বল লাগলে কেঁদে উঠত ছেলে৷ কিন্ত্ত আমি হাল ছাড়িনি৷ এখন আর সেসব হয় না৷ একশোটার মধ্যে বড় জোর দুটো বা তিনটা বল মিস হয়৷ তবে এখনও বাউন্সার দিইনি৷ ওটা আর কিছুদিন পরে দেব৷ হাইটটা আর একটু বাড়ুক।” হিমাংশু এখন যোগাযোগ করার চেষ্টা করছেন লক্ষীরতন শুক্লার সঙ্গে৷ হাওড়াতে রাজ্যের ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী লক্ষ্মীরতন শুক্লার ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে ভর্তি করার ইচ্ছা রয়েছে৷ মা সু্প্রিয়া ছেলেকে সাধারন খাবারের পাশপাশি অতিরিক্ত খাবার হিসাবে মুসুম্বি লেবু, হরলিক্স ইত্যাদি দেন৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ