অর্ণব আইচ: একদিকে যখন গোলাপি টেস্টে মাতোয়ারা কলকাতা, তখন শহরেরই এক প্রান্তে গোপনে রমরমিয়ে চলল ক্রিকেট বেটিং। যে অভিযোগে ইতিমধ্যেই মোট চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শুক্রবার ইডেনে শুরু হয়েছে ভারত-বাংলাদেশ দ্বিতীয় টেস্ট। প্রথমবার দিন-রাতের টেস্টে গোলাপি বলে মুখোমুখি দুই দল। যে ম্যাচ ঘিরে শহরজুড়ে উৎসবের আমেজ। ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী থাকতে সব পথ যেন এসে মিশেছিল ইডেন গার্ডেন্সে। বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, চারদিনের টিকিট শেষ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু শহরের অন্য প্রান্তে সেই সময় সকলের অলক্ষ্যে রমরমিয়ে চলছিল সেই ম্যাচ নিয়ে বেটিং। পুলিশ জানায়, একটি বেটিং অ্যাপের মাধ্যমে চলছিল ব্যবসা। লক্ষ লক্ষ টাকার বেটিং চলছিল। বেটিং চক্রের খবর পেয়ে সন্ধেয় বৃন্দাবন বসাক স্ট্রিটের একটি বাড়িতে হানা দেয় জোড়াবাগান থানার পুলিশ। সেখান থেকেই কুন্দন সিং (২২), মুকেশ মালি (৩২) এবং সঞ্জয় সিংকে (৪২) গ্রেপ্তার করা হয়। এর মধ্যে জোড়াবাগানেরই বাসিন্দা কুন্দন। বাকি দু’জনের বাড়ি বুর্তোলা থানা এলাকায়।
তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে উঠে আসে আরও একজনের নাম। পুলিশ জানতে পারে, বেটিং চক্রের সঙ্গে জড়িত ছিল বছর বাইশের সর্জিল হোসেনও। পরে নিউমার্কেট এলাকা থেকে তাকেও গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃতদের কাছ থেকে মোট চারটি মোবাইল ফোন, দুটি কম্পিউটার এবং ২ লক্ষ ৫ হাজার টাকা নগদও বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। বেটিং চক্রের শিকড় কতদূর পর্যন্ত বিস্তৃতি, তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।
তবে এই প্রথমবার নয়, চলতি বছর আইপিএল এবং বিশ্বকাপের সময়ও শহরের একাধিক জায়গা বেটিং চক্রের সন্ধান পেয়েছিল পুলিশ। গ্রেপ্তারও করা হয়েছিল বেশ কয়েকজনকে। এবার টেস্ট ম্যাচ নিয়েও জমে উঠেছিল বেটিংয়ের বাজার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.