ইস্টবেঙ্গল-১ (ক্রিস পেইন)
চার্চিল ব্রাদার্স-২ (অ্যান্থনি উলফ, ক্রোমার)
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেন ডেরেক পেরেরাকে অন্যতম সেরা ভারতীয় কোচ বলা হয়, ফের একবার প্রমাণ করলেন তিনি। গোয়ায় মোহনবাগানকে হারানোর পর বারাসত স্টেডিয়ামে অ্যাওয়ে ম্যাচে কলকাতার আরেক প্রধান ইস্টবেঙ্গলকেও হারিয়ে দিল চার্চিল ব্রাদার্স। ফলাফল ২-১। এই প্রথম চলতি আইলিগে ঘরের মাঠে হারতে হল ইস্টবেঙ্গলকে। ফলে মোহনবাগানকে হারিয়ে চার্চিল যে অ্যাডভান্টেজটা লাল-হলুদকে পাইয়ে দিয়েছিল, কয়েকদিনের অন্তরালে সেটাই কেড়ে নিল।
ডেরেক পেরেরার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই ঘুরে দাঁড়িয়েছিল চার্চিল। আর এদিন ইস্টবেঙ্গল খেলোয়াড়দের ছন্নছাড়া ফুটবল আরও একটি জয় তুলে আনতে সাহায্য করল তাঁদের। মঙ্গলবার ম্যাচ শুরুর সাত মিনিটের মাথায় লাল-হলুদ গোলকিপার রেহনেশ ও ডিফেন্ডার আনোয়ারের ভুলে গোল খেয়ে যায় ট্রেভর জেমস মর্গ্যানের ছেলেরা। আনোয়ারের ব্যাকপাস রেহনেশ ক্লিয়ার করতে গিয়ে ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর স্ট্রাইকার অ্যান্থনি উলফের গায়ে মেরে বসেন। আর বলটি গোলের দিকে এগিয়ে যায়। রেহনেশ নিজের জায়গায় না থাকায় গোল করতে অসুবিধা হয়নি অ্যান্থনির। প্রথম গোল খাওয়ার পরেই আক্রমণ শানাতে শুরু করে ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু কোনও আক্রমণই ঠিকমতো দানা বাঁধে নি। উল্টোদিকে ৩৪ মিনিটে চার্চিলের আরেক বিদেশি ক্রোমা গোল করে ব্যবধান বাড়ান। তাঁর গোলের সময় একেবারেই ছন্নছাড়া হয়ে দাঁড়িয়ে পড়েছিল লাল-হলুদ ডিফেন্স। ফলে আগুয়ান গোলরক্ষককে কাটিয়ে গোল করতে কোনও অসুবিধা হয়নি ক্রোমারের। দু’গোল হজম গোল শোধে মরিয়া হয়ে ওঠে ইস্টবেঙ্গল। এরমধ্যেই রফিককে তুলে প্লাজাকে নামান মর্গ্যান। কিন্তু ৪৩ এবং ৪৪ মিনিটে পেনাল্টি বক্সে ফাঁকায় বল পেয়েও গোলকিপারের হাতে মারেন উইলিস প্লাজা এবং নিখিল পূজারী। ফলে বিরতিতে দুগোলে পিছিয়ে ছিল ইস্টবেঙ্গল।
বিরতির পরও গোল শোধের মরিয়া চেষ্টা করতে থাকে ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু কোথাও যেন ওয়েডসনের অভাব টের পাচ্ছিল তাঁরা। উল্টোদিকে, চার্চিলের খেলোয়াড়রা নিজেদের মধ্যে সংঘবদ্ধ ফুটবল খেলছিল। বিশেষ করে চার্চিলের ডিফেন্স এদিন খুবই ভাল খেলেছে। ক্রিস পেইন-রবিন সিং-প্লাজাকে বলতে গেলে একেবারে বোতলবন্দি করে রেখেছিল তাঁরা। আর লাল-হলুদ খেলোয়াড়রাও নিজেদের মধ্যে প্রচুর মিসপাস করতে থাকেন। তবে রবিন-পেইন যুগলবন্দিতে ৬৭ মিনিটে একটি গোল শোধ করেন অজি স্ট্রাইকার। কিন্তু এরপরেও কয়েকটি সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি লাল-হলুদ খেলোয়াড়রা। এদিকে, ম্যাচ শেষে ক্লাব কর্মকর্তাদের সঙ্গে ঝামেলায় জড়ান একদল লাল-হলুদ সমর্থক। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে সেই ঝামেলা থামে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ইস্টবেঙ্গলের হারে লিগ জয়ের অপর দুই দাবিদার মোহনবাগান এবং আইজল এফসি কিছুটা হলেও স্বস্তিতে থাকল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.