Advertisement
Advertisement

এভাবেও ফিরে আসা যায়! বোঝালেন ধোনি, বোঝাল চেন্নাই

গোটা টুর্নামেন্টেই চেন্নাইকে টানল সেই চেনা মুখগুলোই।

Chennai shows how to come back
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:May 27, 2018 11:39 pm
  • Updated:July 11, 2018 12:11 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর গোটা চেন্নাই দল যখন সেলিব্রেশনের মুডে তখন ধোনিকে দেখা গেল একই রকম নির্লিপ্ত, হাসিমুখে বিপক্ষের ক্রিকেটারদের সঙ্গে করমর্দন করছেন । চোখেমুখে উচ্ছ্বাস ভেসে উঠলেও, তাঁর বহিঃপ্রকাশ দেখা গেল না সেরা হওয়ার দিনেও। এটাই চেনা ধোনি, চেনা ক্যাপ্টেন কুল।

[অনবদ্য ওয়াটসন, হায়দরাবাদকে হারিয়ে তৃতীয়বার আইপিএল ট্রফি ধোনির হাতে]

২ বছরের নির্বাসন যে শুধু চেন্নাইয়ের ছিল তা হয়তো নয়, বিগত ২টি বছর মহেন্দ্র সিং ধোনির জন্যও আইপিএল  ছিল ঘরছাড়া পাখির মতোই। একবছর আগেও মাহির আইপিএল কেরিয়ারে প্রশ্ন চিহ্ন উঠে গিয়েছিল। চেন্নাই সুপার কিংস তখন বেটিং বিতর্কে নির্বাসিত। সঞ্জীব গোয়েঙ্কার রাইজিং পুনে সুপার জায়ান্টের জার্সিতে মাঠে নেমেছেন এমএসডি। ২০০৭ সালের পর যে ধোনি সীমিত ওভারে জাতীয় দলের অধিনায়কত্ব করছিলেন সেই ধোনিকেই খেলতে হচ্ছিল অস্ট্রেলিয়ার স্টিভ স্মিথের অধীনে। ব্যাটসম্যান ধোনিও যে আহামরি কিছু ফর্ম দেখিয়েছিলেন তা কিন্তু নয়। কিন্তু কথায় আছে, চিরদিন কাহারও সমান নাহি যায়। চেনা জার্সিতে আবার সেটাই প্রমাণ করলেন ধোনি, প্রমাণ করল সিএসকে। এই জন্যই হয়তো নিজেদের বিশ্বস্ত সেনাপতির হাতেই ফের দলের দায়িত্ব তুলে দিয়েছিল চেন্নাই সুপার কিংস ম্যানেজমেন্ট।

csk_web

[চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নাম বদলে তাঁর নামে রাখা হোক, চাইছেন রোনাল্ডো]

২ বছরের নির্বাসন বিতর্ক কাটিয়ে ফিরে এসেই সিএসকে বুঝিয়ে আইপিএলে তারাই সেরা। দলে যেই থাকুক সিএসকের নামটাই যথেষ্ট। আরও একবার আইপিএলের ঝাঁ চকচকে ট্রফি তুলতে দেখা গেল মহেন্দ্র সিং ধোনিকেই। ওয়াংখেড়েতে শোনা গেল হুইসল পোডু, ধ্বনি। নস্ট্যালজিয়া ঘিরে ধরল ধোনি, এবং সিএসকে ফ্যানদের। তিনবার আইপিএল ট্রফি জিতেছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সও। কিন্তু, রোহিত শর্মারা কোনওদিনই চেন্নাইয়ের মতো দাপট দেখাতে পারেননি।

[টুইট করে কলকাতাবাসীকে এই সুখবরই দিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়]

নিলামের পরে অবশ্য অনেকেই চমকে গিয়েছিলেন চেন্নাইয়ের দল দেখে। তরুণদের খেলা টি-২০, কিন্তু চেন্নাই দলে তারুণ্য কোথায়? সিএসকে ম্যানেজমেন্ট তো ভরসা রেখেছে সেই চেনা মুখ গুলিতেই, তাদের অধিকাংশই তো ৩০-এর কোঠা পেরিয়ে গিয়েছেন। জাতীয় দলের নিয়মিত ক্রিকেটার বলতে তো শুধু ধোনি। রায়না, রায়ডু, জাদেজারা বড় বেশি সুযোগ পান না বিরাট কোহলির সীমিত ওভারের দলে। আর যে দু-একজন তরুণ মুখ ছিল তারা নেহাতই অনভিজ্ঞ। অনেকে টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই বাতিলের খাতায় ফেলে দিয়েছিলেন ‘বুড়ো’ চেন্নাইকে।

 

[ক্রিকেট-রাজনীতি থেকে বিরতি নিয়ে ‘গৃহলক্ষ্মী’ হয়ে উঠলেন লক্ষ্মীরতন]

কিন্তু সেই ‘বুড়ো’রাই বোঝালেন, ফরম্যাট যেমনই হোক, অভিজ্ঞতা কাজে আসেই। ফাইনালে যখন পাঁচ ওভারে ২২ রান নিয়ে প্রবল চাপে সিএসকে তখন ম্যাচের মোড় ঘোরালেন সেই সেই ‘বুড়ো’ ওয়াটসন। মনে রাখতে হবে গতবারের টুর্নামেন্টে একেবারেই ভাল খেলেননি শেন। সিএসকের জার্সিই হয়তো ফের খুঁজে আনল পুরনো ওয়াটসনকে। দলকে চ্যাম্পিয়ন করার কারিগর হলেন অজি অলরাউন্ডার। তাঁর আইপিএল কেরিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরিটি হয়তো ফাইনালের চেয়ে ভাল সময়ে আসতে পারত না।

[বিশ্বকাপ শুরুর আগে অনবদ্য রেকর্ড বার্সেলোনার, হার মানল রিয়ালও]

শুধু ফাইনাল নয়, গোটা টুর্নামেন্টেই চেন্নাইকে টানল সেই চেনা মুখগুলোই। কখনও ওয়াটসন, কখনও রায়না, কখনও ফাফ ডু প্লেসি, আর বেশিরভাগ ম্যাচে খোদ অধিনায়ক ধোনি। যখন যেমন প্রয়োজন পরিস্থিতি অনুযায়ী নিজেকে বিলিয়ে দিলেন ধোনি। হরভজন, জাদেজা, ব্র্যাভোরাও প্রয়োজনে এগিয়ে এলেন ব্যাট বা বল হাতে। জাতীয় দলে ব্রাত্য হয়ে থাকা রায়ডু অবশ্য নজর কাড়লেন সবচেয়ে বেশি। গোটা টুর্নামেন্টে দেখা গেল চেনা ক্যাপ্টেন কুলকেও। অনভিজ্ঞ বোলাদের ঘুরিয়ে ফিরিয়ে যেভাবে টুর্নামেন্ট জেতালেন ধোনি, তাতে অনেকেই ২০০৭ এর বিশ্বকাপজয়ী ধোনির ছায়া দেখছেন। তাঁর জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়া নিয়ে যারা প্রশ্নচিহ্ন তুলছেন তাদের হয়তো ধোনি মনে করালেন, মাহি আছেন মাহিতেই।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement