Advertisement
Advertisement

ইনজুরি টাইমে গোল বাতিল আজহারের, রণক্ষেত্র মোহনবাগান মাঠ

রেফারির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে, কলকাতা লিগে আর কোনও ম্যাচ খেলবে না বলে আপাতত সিদ্ধান্ত নিল ক্লাব৷

Chaos in Mohunbagan vs Tollygunge Agragami match in CFL
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:August 29, 2016 8:42 pm
  • Updated:August 29, 2016 10:12 pm  

মোহনবাগান- ১ (প্রবীর)

টালিগঞ্জ – ১ (অ্যালফ্রেড)

Advertisement

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ম্যাচ তখনও শেষ হয়নি৷ গ্যালারি থেকে পিলপিল করে মাঠে নেমে আসছেন বাগান সমর্থকরা৷ বোতল ছুড়ছেন, সেলফি তুলছেন৷ অজস্র গালিগালাজ করছেন৷ আর সমর্থকদের সেই পাগলামো থেকে বাঁচতে মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন ডাফি, অর্ণবরা৷ মোহনবাগান মাঠ শেষ কবে এমন দৃশ্য দেখেছে মনে পড়ে না৷

ঘটনার সূত্রপাত দ্বিতীয়ার্ধের ইনজুরি টাইমে৷ আজহারের গোলে টালিগঞ্জ অগ্রগামীর বিরুদ্ধে ২-১-এ জিতে তিন পয়েন্ট নিশ্চিত হতে যাচ্ছিল মোহনবাগানের৷ কিন্তু সহকারি রেফারি উজ্জ্বল হালদারের সিদ্ধান্তে পুরো ছবিটা পাল্টে গেল মুহূর্তে৷ অফসাইডের সিগন্যাল দিলেন রেফারি৷ আজহারের গোল বাতিল হতেই রণক্ষেত্রের চেহারা নিল গঙ্গাপারের ক্লাবের ঘরের মাঠ৷ বাগান সভাপতি স্বপনসাধন বোস মাইক্রোফোন হাতে দর্শকদের শান্ত হওয়ার আর্জি জানালেন৷ কিন্তু কোনও অনুরোধই কাজে লাগল না৷ ন্যায্য গোল বাতিলের প্রতিবাদে তখন রীতিমতো ফুঁসছেন সমর্থকরা৷ চরম উত্তেজনা ঠেকাতে নামানো হয় অতিরিক্ত ফোর্স৷ তা সত্ত্বেও বাগান কর্তারা ম্যাচটি শেষ করার সিদ্ধান্ত নেন৷ কিন্তু পুলিশও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হয়৷ অবশেষে ম্যাচ পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়৷

রেফারির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে, আইএফএ-র কাছে টালিগঞ্জ ম্যাচের রিপ্লে চেয়ে মোহনবাগান ক্লাবের সভাপতি টুটু বোস ও সচিব অঞ্জন মিত্র জানিয়ে দিলেন, এই ম্যাচের রিপ্লে না হলে চলতি কলকাতা লিগে আর কোনও ম্যাচ খেলবে না দল৷ অর্থাৎ ৭ সেপ্টেম্বর কল্যাণীতে ডার্বি ম্যাচও এই ঘটনার পর বিশ বাঁও জলে চলে গেল৷

দিল্লি থেকে বাগান সহ-সচিব সৃঞ্জয় বোস বলেন, “শুনলাম সবাই রেফারিকে ধিক্কার জানাচ্ছে৷ প্রত্যক্ষভাবে খুন করা হল দলকে৷ গৌতম সরকার, বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্যরাও বলছেন গোলটি অফসাইড ছিল না৷ ইস্টবেঙ্গলকে ট্রফি পাইয়ে দেওয়ার জন্য অনেক আইএফএ কর্তা মাঠে নেমে কাজ করছে৷ আমি এখনও কোনও সিদ্ধান্তের কথা স্পষ্টভাবে জানি না৷ তবে দল যা সিদ্ধান্ত নেবে আমি তার সঙ্গে সহমত৷”

বছর চারেক আগে যুবভারতীর বুকে ইস্ট-মোহন ডার্বির সেই ভয়ংকর দিনটার কথাই সোমবার ফুটবলপ্রেমীদের বারবার মনে পড়ে যাচ্ছিল৷ সেবার ইস্টবেঙ্গলের কাছে ০-১ পিছিয়ে থাকা অবস্থায় দর্শকদের ছোড়া ইটে মাথা ফেটেছিল বাগান ফুটবলার রহিম নবির৷ এদিন কেউ চোট না পেলেও ফের কলঙ্কিত হল ফুটবল মাঠ৷

প্রথমার্ধে প্রবীর দাসের গোলে ১-০-য় এগিয়ে যায় সবুজ-মেরুন ব্রিগেড৷ দ্বিতীয়ার্ধে অ্যালফ্রেডের গোলে সমতায় ফেরে টালিগঞ্জ৷ তবে এদিন শুধু আজহারের গোলই নয়৷ মোহনবাগানের মোট তিনটি গোল অফসাইডের কারণে বাতিল করা হয়৷ খেলার সাত মিনিটেই বিদেমির গোল বাতিল করে দেওয়া হয়৷ ৬১ মিনিটে প্রবীরের শট জালে জড়ায়৷ সেই গোলটিও বাতিল করে দেন রেফারি৷ তাই ইনজুরি টাইমে ন্যায্য গোল বাতিল হওয়ায় বাগান ভক্তদের ক্ষোভের বাঁধ ভাঙে৷ ভিডিও ফুটেজ দেখে ও রেফারির রিপোর্টের ভিত্তিতে এবার বাগানকে শান্ত করতে আইএফএ কী সিদ্ধান্ত নেয়, সেদিকেই তাকিয়ে ফুটবলমহল৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement