Advertisement
Advertisement

কমনওয়েলথ গেমস শুরুর আগেই ‘সূচ’ কাণ্ডে ক্লিনচিট পেলেন ভারতীয় বক্সাররা

যদিও সিজিএফ কোর্টের রোষের মুখে পড়েন ভারতীয় চিকিৎসক।

CGF raps Indian doctor for not discarding used syringe
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:April 3, 2018 4:12 pm
  • Updated:April 3, 2018 4:12 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দীর্ঘ তিনদিনের টালবাহানার পর অবশেষে মিলল স্বস্তি। ডোপ কাণ্ডে ক্লিন চিট পেলেন ভারতীয় বক্সাররা। মঙ্গলবার কমনওয়েলথ গেমস ফেডারেশন (সিজিএফ) কোর্টের রোষের মুখে পড়েন ভারতীয় শিবিরের চিকিতসক। তবে আদালতের রায়ে গেমসে অংশ নিতে আর কোনও বাধা রইল না এ দেশের বক্সারদের।

গেমস ভিলেজে ভারতীয় বক্সারদের ঘরের বাইরে সিরিঞ্জ খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল শনিবার। এই ঘটনার সঙ্গে কোনওভাবে ডোপিং জড়িত কিনা, তা খতিয়ে দেখতে শুরু হয় তদন্ত। পাশাপাশি ‘নো নিডল পলিসি’ অর্থাৎ গেমস ভিলেজে সিরিঞ্জ ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও কীভাবে নিয়মভঙ্গ হল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছিল। সোমবার সেই তদন্তে নেমে একটি জাতীয় সংস্থাকে শমন পাঠায় কমনওয়েলথ গেমস ফেডারেশন। সিজিএফ-এর তরফে যদিও সরকারিভাবে জাতীয় সংস্থার নাম জানানো হয়নি। তবে নিডল নিয়ে আলোচনার কথা উল্লেখ করেই ফেডারেশন সিইও ডেভিড গ্রেভেমবার্গ বুঝিয়ে দেন, ভারতীয় সংস্থাকেই শমন পাঠানো হয়েছে। এ নিয়ে গতকাল সন্ধেয় মেডিক্যাল কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বসেন ভারতীয় অলিম্পিক সংস্থার আধিকারিকরা।

Advertisement

[বিশ্বকাপ জয়ের দিনেই পদ্মভূষণ, সেনার বেশে সম্মান গ্রহণ ধোনির]

সেই বৈঠকের পর গ্রেভেমবার্গ জানিয়ে দেন, ভারতীয় বক্সারদের ডোপ পরীক্ষায় কোনও বেনিয়ম খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে ফেডারেশন কোর্টের রায়ের অপেক্ষাতেই ছিলেন বক্সাররা। রায় এল তাঁদের পক্ষেই। এদিন কোর্ট নির্দেশ দেয়, সিজিএফ যেন ভারতীয় দলের চিকিৎসককে লিখিতভাবে ‘নো নিডল পলিসি’র ব্যাপারে বুঝিয়ে দেয়। এবং জানিয়ে দেয় গেমস ভিলেজের নিয়ম লঙ্ঘন করেছেন তিনি। যাতে সিজিএফ পলিসি তাঁর কাছে স্পষ্ট হয় এবং তিনি তা মেনে চলেন।”

এদিকে, সোমবার ভারতীয় জাতীয় অলিম্পিক সংস্থার কাছে শমন পাঠায় গেমস কমিটি। যদিও ‘ভারত’কেই যে শমন পাঠানো হচ্ছে, তা প্রকাশ্য বলেননি। তারই জেরে সোমবার গেমস কমিটির প্রতিনিধি এবং স্থানীয় পুলিশ কর্তৃপক্ষ ভারতীয় বক্সারদের চলাফেরার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে বসেন। বলা হয়, রাত দশটার পর ভারতীয় বক্সাররা যেন বাইরে না থাকেন। এরই মধ্যে সোমবার ভারতীয় বক্সিং দলের কোচ স্যান্টিয়াগো নিয়েভা এক ইন্টারভিউয়ে জানান, “একজন বক্সার অসুস্থ বোধ করায় তাঁকে ইঞ্জেকশন দিতে হয়।” ওই ইঞ্জেকশনে কী ছিল? এই প্রশ্নের উত্তরে নিয়েভা বলেন, “মাল্টি ভিটামিন!” বুধবার থেকে শুরু হতে চলা কমনওয়েলথ গেমসে ৩২৭ জন ভারতীয়র দায়িত্বে রয়েছেন একজন মাত্র চিকিৎসক (বক্সারদের চিকিতসক আলাদা) এবং একজন ফিজিও। তবে এর আগে কখনও ভারতীয় চিকিৎসকে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়নি। তাই গোল্ড কোস্টে সূচ কাণ্ডে ভারতীয় চিকিৎসককে লজ্জার মুখেই পড়তে হল বলে মনে করছে ক্রীড়ামহল।

[মৃত্যুকালেও নজির, বক্সারের অঙ্গদানে প্রাণ বাঁচল সাত নাগরিকের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement