স্টাফ রিপোর্টার: বুধবারও প্র্যাকটিস দেখতে দু’জন সহকারীকে নিয়ে এলেন লাল-হলুদের নতুন কোচ আলেজান্দ্রো। তবে সুভাষ বা কোনও সহকারির সঙ্গে কোনও কথা বলেননি। ঠিক হয়েছে, যেদিন বাকি দুই বিদেশি ফুটবলার আসবেন, সেদিন একসঙ্গে ফুটবলারদের নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করবেন স্প্যানিশ কোচ। তার আগে এখন কোনও কথা নয়। সেরকমই পিয়ারলেস ম্যাচের আগে এদিন সংবাদ মাধ্যমের সামনে কিছু বললেন না টিডি সুভাষ ভৌমিকও। এগিয়ে দিলেন কোচ বাস্তব রায়কে।
এই মুহূর্তে ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান, বড় দুই ক্লাব বাদে পিয়ারলেসকেই সবচেয়ে শক্তিশালী দল বলে মনে করছেন ফুটবল বিশেষজ্ঞরা। মহামেডান, কাষ্টমসের সঙ্গে পিয়ারলেসও লিগের তৃতীয় স্থান পাওয়ার লড়াইয়ে সমানে দৌড়চ্ছে। তাই লিগ চ্যাম্পিয়নশিপের দৌড়ে বৃহস্পতিবার পিয়ারলেস ম্যাচ ভীষণই গুরুত্বপূর্ণ ইস্টবেঙ্গলের জন্য। এরকম গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ খেলতে নামার আগে ইস্টবেঙ্গল শিবিরের পরিস্থিতি অবশ্য খুব একটা ভাল নেই। এদিন ক্লাবে এলেও প্র্যাকটিস প্রায় করলেন না বলা চলে আমনা, ব্র্যান্ডন আর ডিকা। আমনার চোখের সংক্রমণ এখনও রয়েছে। তাই দলের সেরা অস্ত্রর জন্য সুভাষ ভৌমিক কোনওরকম ঝুঁকি না নিয়ে বিশ্রাম দিয়ে দেন সিরিয়ান ফুটবলারটিকে। কেন না, ইস্টবেঙ্গল টিডি জানেন, স্ট্রাইকারের অভাবে পিয়ারলেস ম্যাচ বের করতে হলে আমনাকে খেলাতেই হবে। ডার্বিতে হালকা চোট পেয়েছেন বলে প্র্যাকটিস করেননি ডিকা আর ব্র্যান্ডন। তবে তিনজনকেই পিয়ারলেসের বিরুদ্ধে খেলানোর চেষ্টা চলছে।
পিয়ারলেস কোচ বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্যর অবশ্য ইস্টবেঙ্গল ম্যাচ খেলতে নামার আগে বেশি করে হা-হুতাশ পাঠচক্রর বিরুদ্ধে পয়েন্ট নষ্ট নিয়ে। “ম্যাচটা জিতে থাকলে এখনও লড়াইয়ে থাকতাম আমরা। আসলে দলে অনভিজ্ঞ ফুটবলারদের জন্যই সমস্যাটা হয়েছে।” বক্তব্য তাঁর। বিশ্বজিৎ অনভিজ্ঞ ফুটবলারদের কথা বললেও দলে রয়েছেন ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর হয়ে একদা বিশ্বকাপ স্কোয়াডে থাকা অ্যান্টনি উলফ। রয়েছেন ক্রোমা, রহিম নবির মতো অভিজ্ঞ ফুটবলারও। যদিও পিয়ারলেস দলে কোচ-ফুটবলার নিয়ে সমস্যা রয়েছে প্রচুর। এই পিয়ারলেস মোহনবাগানের থেকে পয়েন্ট কেড়ে নিয়ে লিগ জমিয়ে দিয়েছে। এবার প্রতিপক্ষ ইস্টবেঙ্গল। বিশ্বজিৎ বললেন, “মোহনবাগানে দু’জন ভাল স্ট্রাইকার রয়েছে।” সেই ফরোয়ার্ড লাইনকে যদি আটকে দেওয়া যায়, তাহলে তো ভাল স্ট্রাইকার বিহীন ইস্টবেঙ্গলকে আটকানো অনেক সহজ হবে। বিশ্বজিৎ বললেন, “ইস্টবেঙ্গলের মাঝমাঠ আবার বেশ ভাল। তাছাড়া আমনাও দ্বিতীয় স্ট্রাইকার হিসেবে আক্রমণে চলে আসে। তাই ম্যাচটা আমাদের জন্য খুবই কঠিন। আর নবি, উলফ, ক্রোমারা হয়তো অভিজ্ঞ। কিন্তু তিনজন নিয়ে তো ম্যাচ জেতা যায় না। তার উপর ইস্টবেঙ্গল নিজেদের মাঠে, নিজেদের সমর্থকদের সামনে খেলবে। তাই অনেকটা পিছিয়ে থেকে আমাদের খেলতে হবে। তবুও ছেলেরা লড়াই করবে।”
ইস্টবেঙ্গলের অবশ্য শুধু লড়াই করলে হবে না। ম্যাচটা বের করতে হবে। গতকাল মোহনবাগানের এফসিআই-কে পাঁচ গোল দেওয়ার পর এই তাগিদ তো আরও বেড়ে গিয়েছে। তাই ফিট না থাকলেও আমনা, ব্র্যান্ডন, ডিকা, সবাইকে নামাতে চাইছে ইস্টবেঙ্গলের টিম ম্যানেজমেন্ট।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.