মোহনবাগান-২ (নিখিল কদম, ক্রোমা)
পিয়ারলেস-১ (ডোডোজ)
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দ্বিতীয়ার্ধে পেনাল্টি থেকে ক্রোমার গোল পিয়ারলেসের জালে আছড়ে পড়তেই স্বস্তির নিঃশ্বাস পড়ল মাঠে উপস্থিত আট থেকে আশি সকলের মনে। কেটে গেল প্রথমার্ধ থেকে গুমোট বাঁধা চাপটা। আর হবে নাই বা কেন? ডার্বির আগে অপেক্ষাকৃত কম শক্তিশালী পিয়ারলেসের কাছে হার মানেই পচা শামুকে পা কাটা। তবে সেটা আর হল না। প্রথমার্ধে ১-১ থাকলেও বিরতির পর হার মানল পিয়ারলেস। ফুজাতোপের ছেলেদের ২-১ গোলে হারিয়ে কলকাতা লিগ জয়ের দিকে আরও এক পা এগিয়ে গেল মোহনবাগান। পাশাপাশি দীর্ঘদিন ঘরোয়া লিগ না পাওয়া মোহন সমর্থকদের মুখে হাসিও ফোটালেন ক্রোমা-কামোরা। বাগানের হয়ে এদিন গোল করলেন নিখিল কদম এবং ক্রোমা। উলটোদিকে পিয়ারলেসের হয়ে গোল ডোডোজের।
ম্যাচের শুরু থেকেই চেনা ছন্দে খেলতে শুরু করেন মোহনবাগানের খেলোয়াড়রা। উলটোদিকে, পিয়ারলেসের খেলোয়াড়রা কোনওভাবেই যেন জমি খুঁজে পাচ্ছিলেন না। তবুও গোল আসছিল না। দুই ফরোয়ার্ড কামো-ক্রোমার বোঝাপড়ার অভাবেই পিয়ারলেস রক্ষণের সামনে গিয়ে আটকে যাচ্ছিল বাগান। মোহনবাগান মাঠে উপস্থিত সভ্য সমর্থক থেকে শুরু করে ক্লাব কর্তারা, প্রত্যেকেই যেন টেনশনে পড়ে গিয়েছিলেন। শেষপর্যন্ত স্বস্তির নিঃশ্বাস এনে দেন নিখিল কদম। ৩১ মিনিটে ক্রোমার পাস থেকে নিখিল গোল করে দলকে এগিয়ে দেন। তাঁর গোল যে কতটা স্বস্তি এনে দিয়েছিল, তা বোঝা যায় কোচ শঙ্করলাল চক্রবর্তী এসে তাঁকে জড়িয়ে ধরা দেখলেই। কিন্তু বাগান রক্ষণের ভুলে সেই লিড বেশিক্ষণ ধরে রাখা সম্ভব হয়নি। ছ’মিনিটের মধ্যে ফ্রান্সিসের পাস থেকে ডোডোজ গোল করে পিয়ারলেসকে সমতায় ফেরান। প্রথমার্ধে আর কোনও গোল হয়নি। খেলা শেষ হয় ১-১ ব্যবধানে।
দ্বিতীয়ার্ধেও একই ছবি। তবে কোচের টোটকা পেয়ে কিছুটা হলেও জমাট বাঁধে আক্রমণ। এরপরই বাগান আক্রমণের ঢেউ আছড়ে পড়ে পিয়ারলেস রক্ষণে। যার ফল হিসেবেই পেনাল্টি পায় মোহনবাগান। ৬২ মিনিটে বক্সের একদম মাথায় আজহারউদ্দিনকে ফাউল করেন পিয়ারলেসের এক ডিফেন্ডার। আর সেই পেনাল্টি থেকে গোল করতে ভুল করেননি ক্রোমা। যদিও এই পেনাল্টি দেওয়া নিয়ে আপত্তি তোলেন পিয়ারলেসের খেলোয়াড়রা। তাঁদের দাবি ছিল, ওটা পেনাল্টি নয়, ফ্রিকিক ছিল। এরপরও বেশ কয়েকবার গোলের সুযোগ পেয়েছিল বাগানের খেলোয়াড়রা। কিন্তু তা থেকে কোনও গোল আসেনি। সুযোগ এসেছিল পিয়ারলেসের কাছেও। কিন্তু গোল করার লোকের অভাবে কোনও বিপদ বাড়েনি মোহনবাগানের।
এই জয়ের ফলে ডার্বির আগে বেশ স্বস্তি পেল মোহনবাগান। কারণ চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইস্টবেঙ্গলকে এখনও টালিগঞ্জ অগ্রগামীর বিরুদ্ধে খেলতে হবে। সেখানে সবুজ-মেরুনের সামনে কেবল ডার্বি। তাহলেই ২০০৯-এর পর ফের একবার কলকাতা লিগের ঠিকানা হবে গোষ্ঠ পাল সরণী। এর ফলে কিছুটা হলেও চাপ বাড়ল ইস্টবেঙ্গলের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.