মোহনবাগান: ৩ (ডিকা, অভিষেক, আজহার)
রেনবো: ২ (অভিজিৎ, সানডে)
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বৃষ্টির কারণে মোহনবাগান মাঠের দিকে যেন তাকানোই যাচ্ছে না। কিন্তু তাতেও খেলা জমিয়ে দিলেন মোহনবাগান ও রেনবো দলের ফুটবলাররা। বৃষ্টি উপেক্ষা করেই রুদ্ধশ্বাস একটি ম্যাচ উপভোগ করলেন দর্শকরা। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শেষে জয় পেল ঘরের দল। তবে মোহনবাগানকে বেশ খেটেই ম্যাচ বের করতে হয়েছে।
অভিজিতের দুর্দান্ত গোলে এদিন প্রথমার্ধেই এক গোলে পিছিয়ে পড়ে মোহনবাগান। সবুজ-মেরুনের খেলা তখনও জমাট বাঁধেনি। সঙ্গবদ্ধ আক্রমণও দেখা যাচ্ছিল না। আর রক্ষণের বোঝাপড়ার অভাবে গোল হজম করতে হয় গঙ্গাপারের ক্লাবকে। কিন্তু বিরতির পর ছবিটা একেবারে পালটে যায়। দ্বিতীয়ার্ধে এক্কেবারে ভিন্ন সবুজ-মেরুন ব্রিগেড ধরা দেয় মাঠে। আক্রমণের ঝাঁজ বাড়িয়ে দেন স্ট্রাইকাররা। তবে মেহতাব মাঠে নামতে খেলা আরও জমে ওঠে। আরও সচল হয় মাঝমাঠ। প্রাক্তন লাল-হলুদ মিডিওর ফ্রি-কিক থেকেই দলকে সমতায় ফেরান ডিকা। পরের গোলটা আসে পড়ে পাওয়া চোদ্দ আনার মতো। অভিষেকের টাচ রেনবোর গডিনের কনুই ছুঁয়ে ঢুকে যায় গোল পোস্টের ভিতর। গঙ্গাপারের ক্লাবে ফেরে আত্মবিশ্বাস। উলটোদিকে চাপ বাড়ে রেনবোর উপর। তৃতীয় গোলটির নেপথ্যেও সেই মেহতাব। তাঁর কর্নার কিককে কাজে লাগিয়েই কলকাতা লিগে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে তিন পয়েন্ট নিশ্চিত করে ফেলেন আজহার। শেষের দিকে সানডের গোলে আরও একবার জ্বলে ওঠার চেষ্টা করেছিল রেনবো। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি।
এদিন দল জিতল ৩-২ গোলে। কিন্তু জিততে পারত আরও বেশি গোলে। ডিকা, অভিষেকদের নিশ্চিত গোল হাতছাড়া না হলে স্কোরলাইন অন্যরকম হতেও পারত। আর এই বিষয়টাই মঙ্গলবার স্বস্তি দিচ্ছে কোচ শংকরলাল চক্রবর্তীকে। তবে চিন্তাটা থেকে গেল দলের ডিফেন্স নিয়ে। বড়বড় দলের বিরুদ্ধে লড়াই এখনও বাকি। সেখানে রেনবোর কাছে জোড়া গোল হজম রক্ষণের কঙ্কালসার চেহারাটাই স্পষ্ট করে দিল। পাঠচক্রের পর নিউ বারাকপুরের দলের বিরুদ্ধেও এল কষ্টার্জিত জয়। তাই ছয় পয়েন্ট ঝুলিতে ভরলেও বাগান কোচের যে অনেক ভুল শুধরানোর কাজ বাকি থেকে গেল, তা বলাই বাহুল্য।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.