Advertisement
Advertisement

বড় ম্যাচ অমীমাংসিত, আরও জমে উঠল লিগের লড়াই

শিল্টন ভুল না করলে অন্যরকম হত খেলার ফল।

CFL 2018: Kolkata derby finished 2-2
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:September 2, 2018 6:32 pm
  • Updated:September 3, 2018 5:45 pm  

মোহনবাগান ২ (পিন্টু, হেনরি)

ইস্টবেঙ্গল ২ (অ্যাকোস্টা, রালতে)

Advertisement

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এভাবেও ফিরে আসা যায়। মরশুমের প্রথম ডার্বিতে আরও একবার সেই পুরনো প্রবাদই মনে করাল ইস্টবেঙ্গল। প্রথমার্ধে দুর্দান্ত ফুটবল উপহার দিয়েও ক্ষণিকের ভুলে জয় হাতছাড়া করল সবুজ-মেরুন শিবির।  গোলের টানটান ম্যাচ শেষে হাসি ফুটল না কোনও শিবিরের মুখেই। দুই অর্ধে দু’রকমের ফুটবল। শেষ পর্যন্ত স্নায়ুর চাপ সামলে এক পয়েন্ট তুলে নিল লাল-হলুদ শিবির। প্রথম আধ ঘণ্টার মধ্যে দু’গোলে পিছিয়ে গিয়েও শেষপর্যন্ত দুর্দান্ত কামব্যাক করে ২-২ গোলে প্রথম ডার্বি ড্র করল লাল-হলুদ ব্রিগেড। বড় ম্যাচ ড্র হওয়ায় আরও জমে গেল কলকাতা লিগ। এবার লিগের লড়াই হবে শেষ পর্যন্ত।

[মহামেডান স্পোটিংয়ের ফুটবলারের বাড়িতে বোমাবাজি, ছড়াল চাঞ্চল্য]

ম্যাচের শুরুটা দুর্দান্ত করেছিল মোহনবাগান। প্রথম আধ ঘণ্টা কার্যত একপেশেভাবে একের পর এক আক্রমণ শানিয়ে গিয়েছে মোহনবাগান। হেনরি-ডিকা-পিন্টু-অরিজিতদের গতির মুখে নাস্তানাবুদ হয়ে পড়ছিল ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্স। নতুন সেন্টার-হাফ জুটির মধ্য সমন্বয়ের অভাব স্পষ্ট বোঝা গেল। আর রক্ষণের সেই দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে দুটো ছবির মতো গোলও উপহার দিল মোহনবাগান ফুটবলাররা। ম্যাচের ১৯ মিনিটে দুর্দান্ত টিম-গেমে প্রথম গোল তুলে নেন তরুণ পিন্টু মাহাতা। অনবদ্য পাসিংয়ের পর ডানপ্রান্ত থেকে আসা অরিজিত বাগুইয়ের পাস থেকে অনবদ্য ভঙ্গিমায় প্রথম গোলটি তুলে নেন পিন্টু। মিনিট দশ পরেই প্রায় একই জায়গা থেকে অরিজিতের ক্রস, প্রায় একই রকম ভঙ্গিমায় অনবদ্য গোল হেনরির। মোহনবাগানের দশ নম্বর জার্সির মাটি কামড়ানো শটের কোনও জবাবই ছিল না ইস্টবেঙ্গল গোলকিপারের কাছে। এরপরেও প্রথমার্ধে দাপট ছিল সবুজ-মেরুনেরই।

কিন্তু ছন্দপতন হল প্রথমার্ধের এক্কেবারে শেষ মুহূর্তে। মোহনবাগানের গোলকিপার শিল্টন পালের ভুলের জন্য পড়ে পাওয়া চোদ্দ আনার মতো গোল পেয়ে গেলেন ইস্টবেঙ্গলের বিশ্বকাপার জনি অ্যাকোস্টা। অ্যাকোস্টার সেই গোলই দ্বিতীয়ার্ধে মোমেন্টাম দিয়ে দিল ইস্টবেঙ্গলকে। প্রথমার্ধে ঠিক যেভাবে দাপট দেখাচ্ছিল মোহনবাগান। দ্বিতীয়ার্ধে তেমনই দাপট দেখাল ইস্টবেঙ্গলও। একের পর আক্রমণে সবুজ-মেরুন রক্ষণকে ছিন্নভিন্ন করে ফেললেন আমনা-রালতেরা। ম্যাচের বয়স তখন ৫৫ মিনিট। মাঝমাঠের দখল নিতে বহু যুদ্ধের নায়ক মেহতাব হোসেনকে নামান বাগান কোচ শংকরলাল। কিন্তু মেহতাব নামার পর দুর্ভাগ্যজনকভাবে চোট পেয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে গেলেন তিনি। সম্ভবত জীবনের শেষ ডার্বিতে এর চেয়ে ভাল কিছু প্রত্যাশা করেছিলেন মোহনবাগানের তারকা ফুটবলার। মিনিট পাঁচেকের মধ্যেই দুর্দান্ত কর্ণার কিক থেকে শিল্টন অনবদ্য সেভ করেন সবুজ-মেরুন অধিনায়ক শিল্টন পাল। কিন্তু রিবাউন্ডে অনবদ্য হেডার দিয়ে মোহনবাগান জালে বল জড়িয়ে দিলেন রালটে।

[ফের চালকের আসনে ইংল্যান্ড, বিরাটদের চাপে রাখলেন বাটলার-কুরান]

ম্যাচ শেষে হয়তো দু’দলের কোচই প্রসন্ন মনেই ঘরে ফিরবেন। কারণ দ্বিতীয়ার্ধে ইস্টবেঙ্গল সুযোগ নষ্ট না করলে হয়তো শূন্য হাতে ফিরতে হত সবুজ মেরুনকে। অন্যদিকে, প্রথমার্ধে শিল্টন ভুল না করলে হয়তো শূন্য হাতে ফিরতে হত ইস্টবেঙ্গলকে। তাই বড় ম্যাচ থেকে অন্তত এক পয়েন্ট পেয়ে সন্তুষ্ট হবেন দুই কোচই।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement