দাপট বজায় রেখে চলেছেন ব্রিজভূষণ। ছবি: টুইটার
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনে (Wrestling Federation of India) কোনও না কোনও নাটক চলছেই। সদ্য নির্বাচিত সভাপতি সঞ্জয় সিং-সহ গোটা কমিটিকে সাসপেন্ড করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রক (Sports Ministry of India)। ক্রীড়ামন্ত্রকের দাবি, কুস্তি ফেডারেশন সংবিধান না মেনে কাজ করছে। সেকারণেই সাসপেন্ড করা হল। তবে, পুরোপুরি কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়নি। আর এর পরেই বিজেপি-র (BJP) সর্ব ভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার (JP Nadda) কাছে দেখা করতে যান ব্রিজভূষণ সরণ সিং (Brij Bhushan Sharan Singh)। সেখান থেকে আলোচনা সেরেই ফেরার পরেই আরও একবার বিতর্কিত মন্তব্য করে বসলেন তিনি। এদিকে কেন্দ্র সরকার ভারতের অলিম্পিক সংস্থাকে একটি প্যানেল গড়তে বলেছে। এই ইস্যুর নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এই প্যানেল নাকি ভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনের কাজকর্ম দেখবে।
বৃহস্পতিবার নির্বাচিত হওয়ার পরেই জাতীয় অনূর্ধ্ব-১৫ ও অনূর্ধ্ব-২০ স্তরের প্রতিযোগিতার কথা ঘোষণা করেছিলেন নতুন সভাপতি সঞ্জয় সিং। কিন্তু সেই ঘোষণার আগে ফেডারেশনের কোনও বৈঠক ডাকা হয়নি। এক্সিকিউটিভ কমিটির সদস্যদেরও জানানো হয়নি। সেই ব্যাপারটাকে সামনে এনেই কমিটি ভেঙে দিয়েছে ক্রীড়ামন্ত্রক। যদিও ব্রিজভূষণের দাবি, “মনে হয় কুস্তি ফেডারেশনের হাতে সময় কম ছিল। সেইজন্য জরুরি ভিত্তিতে আলোচনা করে জাতীয় অনূর্ধ্ব-১৫ ও অনূর্ধ্ব-২০ স্তরের প্রতিযোগিতা আয়োজনের ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে কোনও ভুল নেই।”
এমনকি এই বিতর্কিত নেতার আরও দাবি, “সঞ্জয় সিংকে নিয়ে আমাকে অহেতুক জড়িয়ে ফেলা হচ্ছে। ও মোটেও আমার আত্মীয় নয়। আর এই সব ফালতু প্রশ্ন করে আমার সময় নষ্ট করবেন না। সামনেই লোকসভা ভোট। আমার অনেক কাজ।”
এখানেই অবশ্য থেমে থাকেননি তিনি। ফের বলেন, “আমি ১২ বছর ধরে কুস্তিগিরদের জন্য কাজ করেছি। সময়ই জবাব দেবে আমি ন্যায় করেছি কি না। আমি কুস্তি থেকে অবসর নিয়েছি। কুস্তির সঙ্গে সব সম্পর্ক শেষ হয়ে গিয়েছে। এখন সরকারের সঙ্গে আলোচনা নতুন কমিটি করবে। এই সাসপেন্ড করার নেপথ্যে আমার কোনও ভূমিকা নেই।”
শোনা যাচ্ছে কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রকের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নাকি আদালতে মামলা দায়ের করতে পারে কুস্তি ফেডারেশন। যদিও ব্রিজভূষণ কিন্তু এই বিষয়ে ধীরে চলো নীতি নিচ্ছেন। তিনি ফের যোগ করেন, “আমার মতে সঠিক সময় জাতীয় অনূর্ধ্ব-১৫ ও অনূর্ধ্ব-২০ স্তরের প্রতিযোগিতা আয়োজন হওয়া উচিত। এতে কোনও ছেলে-মেয়ের বছর নষ্ট হবে না।” যদিও জেপি নাড্ডার সঙ্গে তাঁর কী কথা হল, সেটা খোলসা করতে চাননি এই বিতর্কিত বাহুবলী নেতা।
এর আগে প্রতিবাদী কুস্তিগিরদের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছিলেন ব্রিজভূষণ। তাঁর দাবি ছিল সাক্ষী মালিক, বজরং পুনিয়া নাকি ‘কংগ্রেসের কোলে’ বসে আছেন! এখন এই বিতর্কিত ইস্যুর জল কতদূর গড়ায় সেটাই দেখার।
[আরও পড়ুন: সাক্ষী-বজরংদের প্রতিবাদে নড়ল টনক! কুস্তি ফেডারেশনের নতুন কমিটিকে সাসপেন্ড করল ক্রীড়ামন্ত্রক]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.