সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এভারেস্টের ব্যালকনিতে পৌঁছে গিয়েছিলেন বাংলার একমাত্র অভিযাত্রী পিয়ালি৷ কিন্তু বাদ সাধল ট্রাফিক জ্যাম৷ ভেবেছিলেন, বুধবার রাতে আবারও পাড়ি দেবেন তিনি৷ কিন্তু অক্সিজেনের অভাব৷ পর্যাপ্ত টাকাও নেই তাঁর কাছে৷ তাই এভারেস্ট চূড়ায় পা রাখার স্বপ্নকে দূরে সরিয়ে রেখে বেসক্যাম্পে নেমে এলেন বাংলার পিয়ালি৷ এ বছরের মতো এভারেস্ট অভিযান তাঁকে বাতিল করতে হল৷
সাদা বরফের দুর্গম পাহাড় চূড়ার হাতছানি এড়ানো পর্বতপ্রেমীদের পক্ষে সত্যি কঠিন৷ তার উপর আবার চলতি বছর এভারেস্টের আবহাওয়া যথেষ্টই মনোরম৷ দুয়ে মিলিয়ে শৃঙ্গজয়ের উদ্দেশে পা বাড়িয়েছিলেন কয়েক হাজার পর্বতারোহী৷ সেই তালিকায় ছিলেন বাংলার একমাত্র এভারেস্ট অভিযাত্রী চন্দননগরের পিয়ালি বসাক৷ ২০ মে চলতি মরশুমে প্রথমবার বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গের চূড়ায় পা রাখে একদল অভিযাত্রী। ওই দিনই তাঁদের পিছু পিছু ক্যাম্প থ্রি-তে পৌঁছে যায় দ্বিতীয় অভিযাত্রী দলটিও। সেই দলেই ছিলেন বাংলার পিয়ালি বসাকও। সব ঠিক থাকলে বুধবার ভোরেই এভারেস্টের চূড়ায় পা রাখার কথা ছিল তাঁর। সেই মতোই এগোচ্ছিলেন৷ আবহাওয়াও সঙ্গ দিয়েছিল৷ জানা গিয়েছে, বেলা বারোটা নাগাদ শৃঙ্গের খুব কাছেই ব্যালকনিতে পৌঁছে যান পিয়ালি৷ কিন্তু ততক্ষণে ক্যাম্প ফোরের কাছে অন্তত আড়াইশোজন পর্বতারোহীর ভিড় জমে গিয়েছে। বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে শেষপর্যন্ত ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেন পিয়ালি ও তাঁর সঙ্গী পাসাং শেরপা৷
বাংলার মেয়ে আদৌও এভারেস্ট জয় করে সকলের মুখ উজ্জ্বল করতে পারবেন কি না, তা নিয়ে আশঙ্কা কিছুটা ছিলই৷ বুধবার সকালে ট্রাফিক জ্যাম সেই আশঙ্কাই সত্যি করে দিল৷ বানচাল হয়ে গেল এভারেস্ট চূড়ায় পা রাখার পরিকল্পনা৷ তবে হেরে যাওয়ার পাত্রী নন পিয়ালি৷ কারণ, পাহাড়ের হাতছানিকে এড়ানোর যে সাধ্য নেই তাঁর৷ তাই মন শক্ত করে বুধবার রাতে এভারেস্ট শৃঙ্গ জয়ের জন্য দ্বিতীয়বার চেষ্টা করবেন বলেই ঠিক করেছিলেন বাঙালি পর্বতারোহী৷ কিন্তু এবার বাধা হয়ে দাঁড়াল অক্সিজেন এবং অর্থ৷ তার জেরেই আর দ্বিতীয়বার এভারেস্ট যাত্রা করতে পারেননি পিয়ালি৷ চলতি বছরের মতো অভিযানের পরিকল্পনা বাতিল করে দিয়ে বেস ক্যাম্পে নেমে আসেন তিনি৷ খুব শীঘ্রই রাজ্যে ফিরে আসবেন বাংলার মেয়ে৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.