বার্সেলোনা লেজেন্ডস ৬ (স্যাভিওলা, রজারস, ল্যান্ডি, লিটম্যান ২, জোফ্রে)
মোহনবাগান লেজেন্ডস ০
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতীয় ফুটবল আর ইউরোপিয় ফুটবলের তফাতটা যে আকাশ-পাতাল তা আরও একবার প্রমাণিত হল লেজেন্ডস ম্যাচে। বার্সেলোনা লেজেন্ডস হিসেবে যাঁরা এসেছেন তাঁরা সেই অর্থে বিশ্ববন্দিত তারকা নন। স্যাভিওলা, সিমাও, এডমিলসনদের মতো দু-চারজন ছাড়া সতেরো সদস্যের বার্সা দলের অনেক ফুটবলারই সেভাবে পরিচিতও নন। এদের অনেকেরই বয়স পঞ্চাশের কোঠায়। অন্যদিকে মোহনবাগানের জার্সি গায়ে খেলছেন অনেক কম বয়সী ফুটবলাররা হাবিবুর রহমান,রহিম নবী, সন্দীপ নন্দীরা অনেক তরুণ, অনেক কম বয়সী। এদের মধ্যে কেউ কেউ এখনও পেশাদারি ফুটবল সার্কিটকে পুরোপুরি বিদায়ও জানাননি। তাই ম্যাচ শুরুর আগে প্রত্যাশা করা হচ্ছিল কিছুটা হলেও লড়াই হতে পারে দু’দলের। কিন্তু বাস্তবে তা তো হলই না বরং খেলা হল পুরোপুরি একপেশে।
খেলার শুরুর দিকে কয়েক মিনিট সমানে সমানে লড়াই দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন মোহনবাগান কিংবদন্তীরা। সেই ওই মিনিট পাঁচেক। হয়তো বার্সা লেজেন্ডরা বিপক্ষের শক্তি মেপে নিতে চাইছিলেন। কিন্তু তারপর থেকেই খেলা কার্যত একপেশে। একের পর এক গোল। মিনিট ছয়ের মধ্যেই অনবদ্য গোল করে বসলেন স্যাভিওলা। গোলের পর থেকেই আর বার্সেলোনা লেজেন্ডদের কাছে সেভাবে পাত্তাই পেলেন না বাগান লেজেন্ডরা। সংঘবদ্ধ গতি, পাসিং ফুটবল, পজিশন সেন্স আর টিম কেমিস্ট্রির কাছে কার্যত ধরাশায়ী হয়ে গেল সুব্রত ভট্টাচার্যের দলের রক্ষণ। ম্যাচের ২৮ মিনিটে দ্বিতীয় গোলটি পেলেন বার্সেলোনার রজারস। প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগেই পেনাল্টি থেকে আরও একটি গোল তুলে নিলেন ল্যান্ডি। দ্বিতীয়ার্ধেও একই ছবির পুনরাবৃত্তি। এবারেও তিনটি গোল করলেন বার্সেলোনা লেজেন্ডরা। এদিন ম্যাচে আরও গোল হতে পারত। কিন্তু গোলরক্ষকদের তৎপরতায় রক্ষা পেল মোহনবাগান।
ম্যাচ একপেশে হলেও সহজ দুটি সুযোগ পেয়েছিল মোহনবাগান। কিন্তু কোনওটাই কাজে লাগানো যায়নি । আসলে একসঙ্গে অনুশীলন না করার দরুন বাগান ফুটবলারদের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল। তবে, লেজেন্ডস ম্যাচ মোহনবাগানের পাওনা স্টেডিয়ামে দর্শকদের উপস্থিতি। নজর কেড়েছেন বেশ কিছু বয়স্ক ফুটবলারও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.