দুলাল দে: সরকারি সিলমোহরটাই শুধু পড়া বাকি। অপেক্ষা মরশুমটা শেষ হওয়ার। আর তারপরই ঘোষণাটা হয়ে যাবে।
পরের বার থেকে আইএসএলে আর একক ভাবে নেই এটিকে! আই লিগের ক্লাবের সঙ্গে তারা জুড়ে যাচ্ছে। আসলে আইএসএলে পরের বার যোগ দেবে মোহনবাগান আর ইস্টবেঙ্গল। আর মোহন-ইস্ট টুর্নামেন্টে যোগ দিচ্ছে বলে, দু’টো টিম কমে যাবে। প্রথমটা, এটিকে। যারা কলকাতার তৃতীয় দল হিসেবে আইএসএলে আর একক ভাবে থাকবে না। আর দ্বিতীয় টিমটা হল, পুণে। যার জুড়ছে মুম্বই সিটি এফসি-র সঙ্গে। তবে পুণে আর এটিকের-র মধ্যে নাম তোলায় প্রচুর ফারাক আছে। কলকাতার বড় ক্লাবের কর্তারা শেষ পর্যন্ত পিছিয়ে গেলে আলাদা কথা। নাহলে মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গলের পরের বার আইএসএল খেলা মোটামুটি নিশ্চিত। শোনা গেল, ইস্টবেঙ্গলের ইনভেস্টর ‘কোয়েস’ ফেডারেশন এবং আইএসএল কর্তৃপক্ষ এফএসডিএলকে জানিয়ে দিয়েছে যে, তারা আইএসএল খেলতে চায়। বাকি রইল মোহনবাগান। ফেডারেশন সূত্রে যা খবর, তাতে ২৭ জানুয়ারি ডার্বির আগেই সাংবাদিক সম্মেলন করে ক্লাবের তরফ থেকে নতুন ইনভেস্টরের নাম জানিয়ে দেওয়া হবে। এবং যা স্যামসং নয়!
[ এবার মেয়েদের ফুটবল বিশ্বকাপ হতে চলেছে ভারতে]
এশিয়ান কাপে আমিরশাহি ম্যাচ দেখতে রিলায়েন্সের সুন্দর রামন সহ এফএস ডিএল কর্তারাও আবুধাবি গিয়েছিলেন। ফেডারেশন তরফে ছিলেন কুশল দাস, সুব্রত দত্ত, সুনন্দ ধররা। আমিরশাহি ম্যাচের পরপরই ভারতীয় ফুটবলের রাঘববোয়ালদের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়ে যায় যে, এরপর ভারতীয় ফুটবলকে কী ভাবে সাজালে ভবিষ্যতে আরও এগনো সম্ভব? বলা হচ্ছে, ভারতীয় ফুটবলের এই নবজাগরণে আইএসএলের বড় ভূমিকা রয়েছে। পরের বার টুর্নামেন্ট ফর্ম্যাট কী করা যায়, সেটা নিয়ে কথা শুরু হয়। নানা সূত্র মারফত জানা গেল, যেহেতু ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগানের মতো ফ্যানবেসড দু’টো ক্লাব পরের মরশুমে কলকাতা থেকে আসছে, তাই কলকাতা তৃতীয় দল হিসেবে এটিকে-র থাকা অর্থহীন। উদাহরণ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে, অতীতে আই লিগে টালিগঞ্জ, চিরাগ ইউনাইটেডের অবস্থা। যারা কি না ভাল পারফর্ম করেও স্বতন্ত্র জায়গা তৈরি করতে পারেনি মোহন-ইস্টের দুর্বার উপস্থিতির কারণে। তার চেয়ে কলকাতা থেকে একক দল না নেমে এটিকে অন্য কোনও ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যাক। এতে দু’টো লাভ। এক) কলকাতা থেকে আইএসএলে দলের সংখ্যা দুইয়ের বেশি হল না। দুই) এক দিক থেকে এটিকেও আইএসএলে থেকে গেল। প্লাস, একজন মালিকের পক্ষে দুটো ক্লাবে বিনিয়োগ করাও সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে স্বার্থবিরোধী কাজে অভিযুক্ত হওয়ার সম্ভাবনাও থেকে যায়। এ সব ভেবে ঠিক হয়েছে, একক ভাবে এটিকের এটাই আইএসএলে শেষ মরশুম।
এখন প্রশ্ন, এটিকে যুক্ত হবে কোন ক্লাবের সঙ্গে? শোনা গেল, সংযুক্তিকরণ নিয়ে অনেকদিন ধরেই এটিকের সঙ্গে কথাবার্তা অনেক দূর এগিয়ে নিয়েছেন মোহনবাগান কর্তারা। দুই ক্লাবের সংযুক্তি হলে লোগো কী হবে, নাম কী হবে, জার্সির রং কী হবে, তা নিয়ে আলোচনা চলছে। তবে একটা ব্যাপার পরিষ্কার- যে কোম্পানিই ইনভেস্টর হিসেবে মোহনবাগানের সঙ্গে যুক্ত হবে, তারাই নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করবে।
[আমিরশাহিতে খাঁচাবন্দি ভারতীয় ফুটবল সমর্থকরা, ভাইরাল অমানবিক ছবি]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.