অ্যাটলেটিকো ডি কলকাতা- ৩ (হিউম-২, ডিকা)
মুম্বই সিটি এফসি- ২ (কোস্টা, ভিয়েরা)
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আইএসএলের ইতিহাসে এখনও পর্যন্ত সবেচেয়ে উত্তেজক সেমিফাইনাল ম্যাচ একে বলাই যায় নিঃসন্দেহে। শনিবার রবীন্দ্র সরোবর স্টেডিয়ামে এটিকে বনাম মুম্বই সিটির সেমিফাইনালে ম্যাচে কি ছিল না? প্রথমার্ধের কথাই ধরা যাক। আক্রমণ-প্রতি আক্রমণ, পাঁচ পাঁচটা গোল, পেনাল্টি, দুর্দান্ত ফ্রি-কিক থেকে গোলার মতো হেডার। টানটান একটা ম্যাচের শুরুয়াত এমন হলে তো কথাই নেই। আর দ্বিতীয়ার্ধে প্রাক্তন বিশ্বকাপারের লাল কার্ড দেখা, সবই ছিল এই ম্যাচে। এদিন প্রথম লেগের ম্যাচে এটিকে আর মুম্বই কেউ কাউকে সূচাগ্র মেদিনীও ছাড়েনি। ম্যাচের তিন মিনিটেই হেড থেকে গোল এটিকের ডিকার।
তার সাত মিনিট পরেই মুম্বইয়ের কোস্টার শট জড়িয়ে গেল কলকাতার জালে। এদিন গোলপোস্টের নিচে ছিলেন না সেভজিৎ দেবজিৎ। বদলে ছিলেন স্প্যানিশ ডি মেলো।
ফের ১৯ মিনিটের মাথায় মুম্বইয়ের মার্কি ফুটবলার প্রাক্তন বিশ্বকাপার ডিয়েগো ফোরলানের মাপা ফ্রি-কিক থেকে ভিয়েরার গোলার মতো হেডার রোখার মতো ক্ষমতা ছিল না মেলোর। ঘরের মাঠে এত তাড়াতাড়ি ২ গোল খেয়ে যাবে এটিকে তা সমর্থকরা স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি।
কিন্তু ঠিক ২০ মিনিট পরেই এটিকের হয়ে ম্যাচে সমতা ফেরান হিউম। সেই থেকে ম্যাচে ফিরতে শুরু করে কলকাতা। আর প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার বাঁশি বাজার আগেই বক্সের মধ্যে পোস্তিগাকে ফাউল করে বসেন মুম্বইয়ের সেনা রালতে। পেনাল্টি পায় কলকাতা। পেনাল্টি থেকে গোল করতে ভুল করেননি হিউম। ৩-২ স্কোরে এগিয়ে থেকে বিরতিতে মাঠ ছাড়ে এটিকে।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই একটু বডি কন্ট্যাক্ট ফুটবল খেলতে শুরু করে দুই দলই। কলকাতার জুয়েল রাজাকে বিশ্রী ফাউল করার জন্য লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন মুম্বইয়ের ফোরলান। প্রাক্তন উরুগুয়ান বিশ্বকাপারকে এমন মাথা গরম করতে শেষ কবে দেখা গিয়েছে তা মনে পড়ছে না। ফোরলানের প্রস্থান নিঃসন্দেহে মুম্বইয়ের আক্রমণভাগকে দুর্বল করে দেয়। সুনীল ছেত্রী এদিন শুরু থেকেই ছন্দে ছিলেন না। তা তাঁর খেলা দেখেই বোঝা যাচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত বহু চেষ্টা করেও ম্যাচে সমতা ফেরাতে পারেনি মুম্বই। উত্তেজক এই ম্যাচ জিতে দ্বিতীয় লেগের আগে বেশ ফুরফুরে মেজাজেই থাকবেন কোচ মলিনার ছেলেরা। হিরো অফ দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হন হিউম।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.