সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লির জওহরলাল নেহেরু স্টেডিয়ামের ভিতরের হস্টেলের ঘরে আত্মঘাতী হলেন জাতীয় স্তরের অ্যাথলিট পালেন্দর চৌধুরি। অ্যাথলেটিক্স অ্যাকাডেমির হস্টেলের ঘর থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনায় ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য।
দেশের হয়ে আন্তর্জান্তিক স্তরে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। কিন্তু অনুশীলন ও খেলার জন্য যে হস্টেলে গত দু’মাস ধরে থাকতেন, সেখানেই কেন আত্মঘাতী হলেন পালেন্দর, তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশায় পুলিশ। গতকাল, মঙ্গলবার হস্টেলের ঘরে পালেন্দরের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন তাঁরই এক বন্ধু। ঘরে ঢুকতেই দেখেন সিলিং থেকে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলছেন বন্ধু। সঙ্গে সঙ্গে হস্টেলের অ্যালার্ম বাজিয়ে দেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে ছুটে আসেন পালেন্দরের কোচ এবং কয়েকজন নিরাপত্তারক্ষী। খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। এরপর পালেন্দরকে নামিয়ে স্টেডিয়ামের ভিতরের মেডিক্যাল সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে রাতেই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় এস জে হাসপাতালে। বুধবার সকালে সেখানেই চিকিৎসকরা অ্যাথলিটকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। আলিগড় থেকে হাসপাতালে পৌঁছান স্প্রিন্টারের বাবা মহেশ পালও।
ভারতের হয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে ১০০ ও ২০০ মিটার রেসে প্রতিনিধিত্ব করেছেন ১৮ বছরের স্প্রিন্টার। ২০১৭ সালে ব্যাংককে যুব এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিয়ে রিলেতে সোনাও জিতেছিলেন। তিনি আচমকা কেন আত্মহননের সিদ্ধান্ত নিলেন, তা এখনও স্পষ্ট নয় পুলিশের কাছে। তবে সংবাদসংস্থা এএনআই-কে দিল্লির স্পোর্টস অথোরিটি অফ ইন্ডিয়ার (সাই) এক আধিকারিক জানান, মৃত্যুর আগেরদিন সকালে তাঁর বাবার সঙ্গে ফোনে বচসায় জড়িয়েছিলেন পালেন্দর। পরে বোনের সঙ্গেও কথা হয় তাঁর। তিনি বলেন, “আমাদের দুর্ভাগ্য যে অনেক চেষ্টা করেও ওকে বাঁচাতে পারলাম না।” ইতিমধ্যেই সাইয়ের তরফে গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে বাবা মহেশপালকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, “ও আমায় জানিয়েছিল, ওর টাকার দরকার। আমি জানাই ও সময় মতো টাকা পেয়ে যাবে। কিন্তু বুঝতেই পারছি না তারপর কী হল।” তবে স্টেডিয়ামের অন্দরের কারও বিরুদ্ধে তাঁর কোনও অভিযোগ নেই। পালেন্দরের মৃত্যু সংবাদ জেনে তাঁর পরিবারের প্রতি সহানুভূতি জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী রাজ্যবর্ধন সিং রাঠোর। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.