রাজর্ষি গঙ্গোপাধ্যায়: একটা সময়ে দিল্লির হয়ে তিনি প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলতেন। রাজধানীতে খেলার সময়ে খুব একটা সাফল্য তিনি পাননি। চাকরি নিয়ে চলে এসেছিলেন কলকাতায়। তার পরে কলকাতার সঙ্গে ভালবাসার বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। বাংলার হয়ে রঞ্জি (Ranji Trophy) খেলেছেন। দলের মধ্যে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন মানসিক কাঠিন্য। তাঁর উপস্থিতি বদলে দিয়েছিল গোটা দলের চরিত্র। ১৯৮৯-৯০ মরশুমের রঞ্জি জয়ী বাংলা দলের সদস্য ছিলেন তিনি। দিল্লির বিরুদ্ধে ফাইনালে দাঁত কামড়ে পড়েছিলেন ক্রিজে। ৫২ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে কোয়ার্টার ফাইনালে তাঁর ১৮৯ রানের ইনিংস নিয়ে এখনও চর্চা হয়। যাঁর কথা বলা হচ্ছে, তিনি অরুণ লাল (Arunlal)।
ব্যাট-প্যাড অনেক আগেই তুলে রেখেছেন। এখন তিনি বাংলা দলের কোচ। মনোজ-সুদীপদের হেডস্যর অরুণ লাল ফের বিয়ে করছেন। ২ মে তাঁর বিয়ে। পাত্রী বুলবুল সাহা (Bulbul Saha)। তিনি অরুণ লালের দীর্ঘদিনের বান্ধবী। কলকাতাতেই হবে বিয়ের অনুষ্ঠান। অরুণ লালের প্রথম স্ত্রী রীনা অসুস্থ। তাঁর অসুস্থতার কথা জানেন বুলবুল। সূত্রের খবর, রীনা দেবীর শুশ্রূষাও করবেন তিনি। অরুণ লাল নিজের বিয়ের প্রসঙ্গে বিশেষ কিছু বলতে চাননি। সংবাদ প্রতিদিন-কে অরুণ লাল বলেছেন, ”একান্তই ব্যক্তিগত ব্যাপার। এবিষয়ে এখনই আমি কিছু বলব না।”
৬৬-র অরুণ লালের সারাজীবন জুড়েই শুধু লড়াই আর লড়াই। ভাঙা গোড়ালি নিয়ে, যন্ত্রণাকাতর অরুণ লাল সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়-ক্রিকেটে খেলা সেই ইনিংস এখন লোকগাথার পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে।
এহেন প্রাক্তন ক্রিকেটার ২০১৬ সালের গোড়ার দিকে চোয়ালের ক্যানসারে আক্রান্ত হন। কিন্তু অরুণ লাল তো ফাইটার। লড়াই ছাড়েননি। তাঁর জীবনের শেষ কথা লড়াই, লড়াই আর লড়াই। মারণরোগকে তিনি মাঠের বাইরে পাঠিয়ে দিয়েছেন। দাপিয়ে কোচিং করছেন। এমন লড়াকু এক ক্রিকেটারের জীবনের নতুন এক ইনিংস শুরু হচ্ছে ২ মে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.