Advertisement
Advertisement

Breaking News

মোহনবাগান দিবসে টুটু বোস শিবিরের দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়াতে চান অঞ্জন মিত্র

চিঠি পেলে ভেবে দেখবে টুটু শিবির।

Anjan Mitra on reconciliation path with Tutu Bose
Published by: Subhamay Mandal
  • Posted:July 26, 2018 12:33 pm
  • Updated:July 26, 2018 12:33 pm  

স্টাফ রিপোর্টার: ২৯ জুলাই মোহনবাগান দিবসে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিতে চান সচিব অঞ্জন মিত্র। সভাপতি টুটু বোসের শিবিরও সচিবের ডাকে সাড়া দিতে প্রস্তুত। তবে সেই আমন্ত্রণে যদি আন্তরিকতা থাকে। নাহলে সভাপতি গোষ্ঠী সেই ডাকে সাড়া দেবে কিনা তা নিয়ে যথেষ্ঠ সন্দেহ রয়েছে।

২৯ জুলাই মোহনবাগানিরা উৎসবের আমেজ নিয়ে প্রিয় ক্লাবে আসে। সেখানে নানা অনুষ্ঠানের সঙ্গী হয়। কিন্তু এবার দুই শিবিরের মধ্যে যুদ্ধং দেহী মনোভাব স্পষ্ট। ফলে কোন দিকে বিষয়টা গড়াবে তা কেউ জানেনা। বিশেষ করে ক্লাবের সাধারণ বার্ষিক সভায় দুই গোষ্ঠীর বিবাদ চরমে পৌঁছেছিল। তার জট ক্লাব দিবসের দিন খুলে যাবে এমন ভাবাও ঠিক নয়। এদিন সচিব অঞ্জন মিত্র ক্লাব টেন্টে বসে জানিয়ে দিলেন, “আমরা প্রত্যেককে ২৯ জুলাইয়ের দিন ডাকব। যারা ক্লাবের আগে কর্মকর্তা (পড়ুন টুটু বোস গোষ্ঠী) ছিলেন তাদেরও ডাকা হবে।” সচিবের জবাবের প্রত্যুত্তরে সহ-সচিব সৃঞ্জয় বোস ও অর্থসচিব দেবাশিস দত্ত জানিয়ে দিলেন, “পুরো বিষয়টা নির্ভর করবে সচিবের আমন্ত্রণের ওপর। যদি তিনি আন্তরিকতার সঙ্গে ডাকেন তাহলে নিশ্চয় আমরা ভেবে দেখব। হয়তো মুখে তাঁরা বললেন আমরা সকলকে ডাকছি, আর আমন্ত্রণ পত্র মাঝ রাস্তায় হারিয়ে গেল তাহলে আর কী করে যাব। একটা কথা বলতে দ্বিধা নেই, মোহনবাগান একটা পরিবারের মতো। সেই পরিবারের মধ্যে এমন কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটা উচিত নয় যা লোকচক্ষে হাস্যকর হয়ে দাঁড়ায়। তাই আমরা যাই করি না কেন, ক্লাবের সম্মানকে কখনই ভূলুন্ঠিত হতে দেব না।” জানিয়ে দিলেন সহ-সচিব।

Advertisement
[আহত ইস্টবেঙ্গল সমর্থককে আর্থিক সাহায্য, পাশে দাঁড়ালেন সৃঞ্জয় বোস]

বুধবার টুটু বোসের শিবিরের পক্ষ থেকে সদস্যদের সঙ্গে সরাসরি প্রশ্নোত্তর পর্বের আয়োজন করা হয়েছিল। ভবানীপুর টেন্টে সদস্যরা নানা প্রশ্ন করেন সৃঞ্জয় বোস ও দেবাশিস দত্তকে। দু’জনে জানিয়ে দেন, তাঁরাও দায়িত্বে এলে আইএসএল খেলার জন্য প্রস্তুতি শুরু করবেন। তবে নির্বাচন পর্ব যত দ্রুত সম্ভব শেষ করাই এখন তাঁদের লক্ষ্য। “আমাদের যদি আজ রাত ১২টায় নির্বাচন করতে বলে তাহলেও আমরা প্রস্তুত। এখন পুরো ব্যাপারটাই স্পেশাল অফিসারদের ওপর নির্ভর করছে। তবে এটুকু বলতে পারি, আমাদের প্যানেল তৈরি। যেদিন স্পেশাল অফিসাররা বলবেন সেইদিন-ই আমরা প্যানেল দাখিল করে দেব।” বলছিলেন দেবাশিস দত্ত। নির্বাচন প্যানেলে দুই গোষ্ঠীর তরফ থেকে চারজনের নাম গিয়েছে। কিন্তু সেখানে দেবাশিস দত্তের নাম নেই। শোনা যায়, সচিবের ঘোরতর আপত্তিতেই বাদ পড়ে দেবাশিসের নাম। “অঞ্জনদা আমাকে নিশ্চয় ভালবাসেন। তাই হয়তো চাননি আমি প্যানেলে থাকি।” বিদ্রুপের সুরে বলেন দেবাশিস।

[বিলেতের মাঠে ডার্বি! ইস্টবেঙ্গলকে হারাল মোহনবাগান]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement