সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১৯৫১ থেকে ‘৬২। ভারতীয় ফুটবলের স্বর্ণযুগ! ১৯৫১ সালে দিল্লি এশিয়ান গেমসে চাম্পিয়ান হওয়ার পর রহিম সাহেবের কোচিংয়ে জাকার্তা এশিয়ান গেমসে ইরানকে হারিয়ে সোনা জিতেছিল ভারত। পাশাপাশি ১৯৫৬ সালে গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে চতুর্থ স্থান অর্জন। বুলগেরিয়ার কাছে ৩-০-এ হেরে একটুর জন্য ব্রোঞ্জ পদক হারান চুনি-পিকে-বলরামরা। যা ভারতীয় ফুটবলের এযাবৎ সবচেয়ে বড় সাফল্য বলে মনে করা হয়। কাট টু ১৯৭০। নতুন পর্বে জেগে উঠেছিল ‘ঘুমন্ত দৈত্য’। যুব পর্যায়ে অন্যতম সাফল্য আসে ১৯৭৪ সালে। এশিয়ান ইউথ চ্যাম্পিয়নশিপে যুগ্ম সেরার মুকুট। সেই সোনালি সাফল্যের ৫০ বছরে কৃতি দলটির জীবিত সদস্যদের সম্মানিত করল দেশের সর্বোচ্চ ফুটবল সংস্থা অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশন (All India Football Federation)।
মঙ্গলবার AIFF-এর অনুষ্ঠান এশিয়ান ইউথ চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ী দলের সদস্যদের হাজিরায় নস্টালজিক হয়ে উঠল ভারতীয় ফুটবলের মক্কা। ফেডারেশন প্রেসিডেন্ট কল্যাণ চৌবের উপস্থিতিতে কলকাতায় হয়ে গেল সংবর্ধনা অনুষ্ঠান। যেখানে উপস্থিত ছিলেন ১৯৭৪-এর স্কোয়াডের অধিনায়ক সাব্বির আলি, সি সি জেকব, দিলীপ পালিত, শিশির গুহ দস্তিদার, রঞ্জিত দাস (গোবিন্দ) এবং এস পি কুমার। নজরকাড়া সাফল্য পাওয়া দলটির কোচিংয়ের দায়িত্বে ছিলেন কিংবদন্তি অরুণ ঘোষ। ইচ্ছে থাকলেও অসুস্থতার কারণে ঐতিহাসিক সম্মাননা অনুষ্ঠানে হাজির থাকতে পারেননি তিনি।
১৯৭৪ সালে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে শহরে অনুষ্ঠিত হয়েছিল এশিয়ান ইউথ চ্যাম্পিয়নশিপ। শেষ ম্যাচে ইরানের সঙ্গে ২-২ ড্র করে সাব্বিরের দল। সেবার উভয় দল যুগ্ম চাম্পিয়ান হয়েছিল। সেকথা স্মরণ করে নিজের বক্তব্যে কল্যাণ বলেন, ‘আমি যখন ফুটবল জীবন শুরু করি, তখনই ১৯৭০ সালের ভারতীয় ফুটবলের স্বর্ণযুগের কথা শুনি। ৩০ এপ্রিল, ১৯৭৪-এর কথা মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য সাব্বিরদাকে কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই, সেই কারণেই এই বিখ্যাত বিজয়ের ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন করতে পারছি।’
এইসঙ্গে আক্ষেপের সুরে কল্যাণ জানান, স্বাধীনতার পরের ৪৮ বছরে এশিয়ান গেমস আর অলিম্পিক্সের গণ্ডির বাইরে বেরতে পারেনি ভারত। তৎকালীন কর্তাদের ভুল সিদ্ধান্তে অর্ধশতক পিছিয়ে গিয়েছে ভারতীয় ফুটবল। যদিও গত পাঁচ বছরে ভারতীয় ফুটবলে নতুন গতি এসেছে বলে দাবি করেন প্রাক্তন ফুটবলার তথা বর্তমান এআইএফএ প্রেসিডেন্ট। পাশপাশি ভারতীয় ফুটবলের সোনালি দিনগুলিকে অক্ষয় করে রাখতে AIFF-এর উদ্যোগে আর্কাইভ বা সংগ্রহশালা গড়ে তোলার কথাও জানালেন কল্য়াণ।
এদিন ১৯৭৪-এর চাম্পিয়ান টিমের ক্যাপ্টেন সাব্বির আলি সংবর্ধনার জন্য ফেডারেশনকে ধন্যবাদ জানালেন। সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘AIFF-এর উদ্যোগের ফলেই আমাদের সাফল্যের কথা জানতে পারবে বর্তমান প্রজন্ম।’ ৭০-এর সোনালি দলের সাফল্যের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনে উপস্থিত ছিলেন IFA প্রেসিডেন্ট অজিত বন্দ্যোপাধ্যায়, চেয়ারপার্সন সুব্রত দত্ত, সম্পাদক অনির্বাণ দত্ত প্রমুখ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.