ভারত- ১ (সুনীল)
কিরঘিজস্তান- ০
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঘরের মাঠ। নিজেদের থেকে ব়্যাঙ্কিংয়ে ৩২ ধাপ পিছিয়ে বিপক্ষ। তার উপর চোট সারিয়ে দলে ফিরেছিলেন ফরোয়ার্ড লাইনের অন্যতম সেরা অস্ত্র সুনীল ছেত্রী। কিরঘিজস্তানের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে সবই ছিল ভারতের অনুকূলেই। আর সেই পরিবেশ-পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়েই মঙ্গলবার এএফসি এশিয়ান কাপে এল মূল্যবান জয়।
টানা সাতটি ম্যাচ জিতে কিরঘিজস্তান বধ করতে মাঠে নেমেছিলেন আত্মবিশ্বাসী ফুটবলাররা। সুনীল ও জেজের উপরই ভরসা রেখেছিলেন কোচ স্টিভেন কনস্ট্যান্টাইন। সেই দুই তারকা স্ট্রাইকারের যৌথ প্রয়াসেই তিন পয়েন্ট ঘরে তুলতে সফল হল ভারত। একটা গোল হল। তবে এদিন বেঙ্গালুরুর কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে আরও বড় ব্যবধানে জিততে পারত মেন ইন ব্লু। দুই অর্ধেই সহজ গোলের সুযোগ হাতছাড়া করেন জেজেরা। দ্বিতীয়ার্ধে বক্সের ভিতর থেকে সাজানো বলও জালে জড়াতে পারেননি সুনীল। তবে দিনের শেষে সেই ক্ষতে মলম লাগিয়েছেন নিজেই। কিরঘিজ মিডিও ও ডিফেন্ডারদের কাটিয়ে দুর্দান্ত গোলটি করেন তিনি। যদিও শেষ মুহূর্তে ফের গোল মিস করেন নেতা। তবে শেষ মিনিটে ফাঁকা গোল পেয়েও পরিবর্ত হিসেবে নামা রবিন সিং যে সুযোগ নষ্ট করলেন, সে দৃশ্য নিজেও মনে রাখতে চাইবেন না তিনি। ম্যাচ জিতলেও একগুচ্ছ গোলের সুযোগ হাতছাড়ার বিষয়টি নিশ্চয়ই ভাবাচ্ছে কোচকে। তবে জয়ের পাশাপাশি একটি কারণে এদিন খুশি হতেই পারেন কোচ কনস্ট্যান্টাইন। এদিন ডিফেন্ডাররা দারুণভাবে নজর কাড়লেন। দ্বিতীয়ার্ধে সন্দেশ ও আনাস নিশ্চিত গোল আটকাতে না পারলে খেলার ফল অন্যরকম হতেও পারত।
ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ১০০ নম্বরে থাকা ভারত এর আগে তিনবার কিরঘিজস্তানের মুখোমুখি হয়েছে। যার মধ্যে ২০০৭ ও ২০০৯ নেহরু কাপে জিতেছিল ভারত। একটি ম্যাচে গোল করেছিলেন সুনীলই। একমাত্র যে ম্যাচটি হেরেছিল, তা শ্রীলঙ্কায় আয়োজিত এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপ। জয়ের নিরিখে এগিয়ে থাকলেও মঙ্গলবার মাঠে নামার আগে বেশ সতর্ক ছিলেন ভারতের কোচ। কারণ, বিপক্ষের একাধিক ফুটবলার খেলেন ইউরোপীয় ক্লাবে। তাছাড়া লম্বায়-চওড়ায় অনেকটাই বেশি শক্তিশালী কিরঘিজ ফুটবলাররা। তাই কোনওভাবেই নিজেদের ফেভরিট বলে ধরেননি সুনীলরা। উল্টে আত্মবিশ্বাসী দেখাচ্ছিল বিপক্ষ কোচকেই। তবে শেষ হাসি হাসল ভারতই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.