সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মে মাস আর বাংলার দুর্যোগ ক্রমেই সমার্থক হয়ে উঠছে। এই মে মাসেই বার বার বাংলার বুকে আছড়ে পড়েছে আয়লা-আমফান-ইয়াস। তাণ্ডব চালিয়েছে ফণীর মতো ঝড়ও। আর তার প্রভাবে সর্বস্ব হারিয়েছে বাংলার উপকূলে থাকা মানুষজন। চরম ক্ষতির মুখে পড়েছিল সুন্দরবন অঞ্চল। সেই স্মৃতি উসকে রবিবার রাতে আছড়ে পড়তে চলছে ‘আরবি বালি’।
কিন্তু কেন মে মাসেই বার বার দুর্যোগের কালো মেঘ নেমে আসে বাংলার বুকে?
৭ জুনের পর বাংলায় ঢোকে বর্ষা। বিদায় নেয় সেপ্টেম্বরে। এর আগে আর পরেই যত বিপদ। আবহাওয়াবিদদের মতে, বর্ষা আসার আগে ও পরে অতিরিক্ত স্পর্শকাতর হয়ে ওঠে ভারত মহাসাগরের উত্তর অংশ। সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা থেকে ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। আর এই জোড়া অনুকূল পরিস্থিতিতেই নিম্নচাপ দ্রুত ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে। যার ক্ষমতা অন্যান্য ঘূর্ণিঝড়ের চেয়ে বেশি হয়।
যদিও বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রভাবে উত্তর-পূর্ব ও উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের বর্তমান তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপর রয়েছে। উচ্চ তাপমাত্রা ও অনুকূল বায়ুর উপর ভিত্তি করেই শক্তি বাড়িয়ে রেমাল। যা আজ রাতেই আছড়ে পড়তে চলেছে বাংলাদেশের মংলা এলাকায়। ল্যান্ডফলের সময়ের গতিবেগ থাকবে ১৩৫ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায়।
বলে রাখা দরকার, ২০০৯ সালে ২৫ মে বাংলায় আছড়ে পড়েছিল আয়লা। ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১২০ কিলোমিটার বেগে ধূলিসাৎ করে দিয়েছিল সুন্দরবনকে। ২০১৯ সালে দাপট দেখিয়েছিল ফণি। বাংলাকে ছুঁয়ে চলে গিয়েছিল ওড়িশা। করোনাকাল এই মে মাসেই ধেয়ে এসেছিল সুপার সাইক্লোন আমফান। গতি ছিল ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২০০ কিলোমিটারের বেশি। একুশের ২৬ মে ঘণ্টায় ১৪০ কিমি বেগে তাণ্ডব চালিয়েছিল ইয়াস। এবার এই তালিকায় জুড়ে যাবে আরবি বালি অর্থাৎ রেমালের নাম।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.