Advertisement
Advertisement
Sun

সূর্যের আয়ু আর কতদিন? জানাল নাসা

সৌরজগতের 'কর্তার' বয়সই বা কত হল?

When will the sun die, NASA reveals surprising facts
Published by: Biswadip Dey
  • Posted:November 10, 2024 5:16 pm
  • Updated:November 10, 2024 5:16 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সূর্য। পৃথিবী নামের নীল রঙের গ্রহটার পাওয়ার হাউস। এই ব্রহ্মাণ্ডের অন্য কোথাও প্রাণের সন্ধান এযাবৎ মেলেনি। অন্তত সৌরজগতের আর কোথাও যে প্রাণ নেই তা একরকম নিশ্চিত (যতই বৃহস্পতির উপগ্রহ ইউরোপাকে ঘিরে আশা জাগুক)। কিন্তু সেই প্রাণও শূন্যে বিলীন হয়ে যাবে যদি সূর্য না থাকে। কাজেই পৃথিবীর জীবজগতের টিকে থাকার জন্য সূর্যের টিকে থাকাও একান্তই দরকার। কিন্তু এই মহাবিশ্বে সকলই ফুরায়। সূর্যও ফুরোবে নিশ্চিত। কিন্তু কবে? খোলসা করল নাসা।

তার আগে বলা যাক, কত পুরনো এই সূর্য? সৌরজগতের ‘কর্তার’ বয়স প্রায় সাড়ে চারশো কোটি বছর। এত বছরের আয়ু সত্ত্বেও সূর্যকে ‘বুড়ো’ বলা যাবে না। কেননা নক্ষত্রের নিরিখে এ নেহাতই তুচ্ছ সময়। সেদিক বিচার করলে বলা যায়, সূর্য এক মাঝবয়সি তারা। নাসার বিজ্ঞানীদের বিশ্বাস, সূর্য তার অর্ধেক আয়ুর কাছাকাছি পৌঁছেছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, সূর্য এখনও অন্তত ৫০০ কোটি বছর বাঁচবে।

Advertisement

কীভাবে মারা যাবে সূর্য? অন্য বহু তারার মতোই শক্তির অভাবেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়বে এই নক্ষত্রটি। আদতে তো সেটি একটি উত্তপ্ত গ্যাসের বল। যা নাগাড়ে শক্তি বিকিরিত করে চলেছে। কোথা থেকে সে পাচ্ছে এই শক্তি? আসলে সূর্যের ভিতরে রয়েছে হাইড্রোজেন। হাইড্রোজেন পরমাণু মিলিত হয়ে তৈরি করে হিলিয়াম। আর এই রাসায়নিক প্রক্রিয়া থেকে প্রচুর শক্তি নির্গত হয়।

এভাবে চলতে চলতে একসময় ‘বুড়ো’ হবে সূর্য। সে হয়ে উঠবে ‘লাল দৈত্য’। এক অতিকায় লাল বল হয়ে তখন সে জ্বলে থাকবে আকাশে। তার পর সময় কাটলে সে ছোট হতে থাকবে। এই সময় সূর্য স্থিতিশীল থাকবে না একেবারেই। দ্রুত হারাবে ভর। এই ভাবে চলার পর তার বাইরের স্তরগুলিকে উড়িয়ে দেবে সূর্য। যদিও ভিতরের মূল অংশ অক্ষতই থাকবে। ঘন হয়ে সূর্য পরিণত হবে ‘শ্বেত বামনে’। সেই সময় সূর্যকে ঘিরে রাখবে এক গ্যাসের আস্তরণ। যাকে বলা হয় নেবুলা। এই অবস্থার শেষে ‘কালো বামন’ হয়ে পড়বে সূর্য। এখন যার উত্তাপের আঁচটুকু গরমকালে আমাদের অবস্থা হয় সঙ্গীন, সে তখন এক ঠান্ডা মহাজাগতিক অবশেষ মাত্র! তবে সেই অবস্থাটা ঠিক কেমন হবে, তা এখনই বলা কঠিন। কেননা বয়সের হিসেবে ব্রহ্মাণ্ড এখনও ‘নবীন’। তাই কোনও নক্ষত্রই ওই অবস্থায় পৌঁছয়নি। সুতরাং সূর্যের ‘শেষের সেদিন’ কেমন হবে তা জানতে এখনও ঢের বাকি। তবে সেই অবস্থা প্রত্যক্ষ করার জন্য যে মানুষ তখন এই গ্রহে থাকবে না তা বলাই যায়।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement