ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দীর্ঘ প্রতীক্ষার শেষে পৃথিবীতে ফিরেছেন সুনীতা উইলিয়ামস। ভারতীয় বংশোদ্ভূত মহাকাশচারীকে ঘিরে কৌতূহলের শেষ নেই। আপাতত তিনি ও আরও তিন নভোচর নাসার সদর দপ্তর ‘জনসন স্পেস সেন্টার’-এ রয়েছেন। জানা যাচ্ছে, সুনীতার খুব ইচ্ছে, স্বাভাবিক জীবনে ফেরার পর নিজের পোষ্যদের সঙ্গে সময় কাটাবেন।
সুনীতার কোনও সন্তান নেই। কিন্তু তাঁর কাছে পোষ্যরাই সন্তানসম। যাদের মধ্যে রয়েছে এক জ্যাক রাসেল টেরিয়ার। তার নাম গর্বি। ২০১০ সালে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক চ্যানেলে এক অনুষ্ঠানে সুনীতার সঙ্গে তাঁকেও দেখা গিয়েছে। এছাড়াও রয়েছে আরও তিন পোষ্য গানার, বেইলি ও রটর।
গত বছর পৃথিবী ছাড়ার আগে সুনীতা জানিয়েছিলেন, অন্তরীক্ষে থাকার সময় পরিবার ও বন্ধুদের মতোই প্রিয় কুকুরদেরও তিনি মিস করবেন। কিন্তু কে জানত প্রতীক্ষা হবে দীর্ঘ প্রতীক্ষা! এবার ‘বাড়ি’ ফিরে সেই প্রিয় পোষ্যদের সঙ্গেই সময় কাটাতে চান সুনীতা। জানিয়েছেন, রাস্তা ধরে বহুদূর পর্যন্ত বেড়াবেন। সাঁতার কাটবেন সমুদ্রে। আর সব সময়ই তাঁর সঙ্গে থাকবে পোষ্য দুই ল্যাব্রাডর কুকুর।
প্রসঙ্গত, বারবার সম্ভাবনা তৈরি হলেও শেষপর্যন্ত সুনীতা উইলিয়ামসদের পৃথিবীতে ফিরতে ফিরতে লেগে যায় ২৮৬ দিন। ভারতীয় সময় ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ ফ্লোরিডার সমুদ্রে অবতরণ করে ‘ড্রাগন ফ্রিডম’। গোটা ঘটনার লাইভ সম্প্রচার করে নাসা। সমুদ্রে অবতরণের পর হাইড্রোলিক পদ্ধতিতে জাহাজে তোলা হয় সুনীতাদের। তাঁরা রওনা দেন হিউস্টন জনসন স্পেস সেন্টারের উদ্দেশে। আগামী কয়েকদিন এখানেই থাকবেন মহাকাশচারীরা।
সুনীতাদের ঘরে ফেরার পর উৎসবে মেতেছে গোটা বিশ্ব। আলাদা উন্মাদনা দেখা গিয়েছে ভারতের বিভিন্ন জায়গাতেও। সুনীতার পৈতৃক গ্রাম গুজরাটের ঝুলাসানেও দেখা যায় সাধারণ মানুষ নেমে এসেছেন পথে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.