অভিরূপ দাস: বাংলার ১৭টা নদীর জলের গুণমান ছিল দূষণ সীমার উপরে। ব্যাপক পরিমাণে কলিফর্ম ব্যাকটেরিয়া ও আয়রনের উপস্থিতিতে সেই জল মুখে দেওয়ার যোগ্য ছিল না। চার বছরের মধ্যেই কালযানী, করোলা, ময়ূরাক্ষী আর শীলাবতী নদীর জল অনেকটাই দূষণমুক্ত। বেড়েছে জলের গুণমানও। সোমবার রাজ্যের পরিবেশ মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া জানিয়েছেন এই তথ্য।
শুধু জলদূষণ নয়, দেশের প্রথম ১০ দূষিত শহরের মধ্যে নেই বাংলার কোনও শহর। বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ করে মাথায় নতুন মুকুট বঙ্গের। ২০১৯-এ বাংলার আসানসোল এবং কলকাতা পিএম ২.৫ দূষণ কণার নিরিখে নবম এবং দশম স্থানে ছিল। ২০২২-এ তা এসে দাঁড়িয়েছে ১৭ এবং ২৯ এ। ২০১৯ এ হাওড়া শহর দূষণের নিরিখে ছিল নবম স্থানে। এখন তা তিরিশতম স্থানে। কোন শহর কত বেশি দূষিত? তা বোঝার জন্য মাপতে হয় বাতাসে বিপজ্জনক দূষণ কণা। বাতাসে ভাসমান নানা ধরণের নানা আকারের দূষণ কণা থাকে। তার মধ্যে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর, যাদের ব্যাস আড়াই মাইক্রন বা তারও কম। এদের বলা হয় পার্টিকুলেট ম্যাটার ২.৫ (বা, পিএম২.৫)। নিশ্বাসের মাধ্যমে এই পিএম ২.৫-র কণা সোজা চলে যায় ফুসফুসের ভিতরে।
উল্লেখ্য, এ বছর পরিযায়ী পাখির সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে সাঁতরাগাছি ঝিলে। গতবছর যেখানে মাত্র ৫ হাজার ৩০০ পাখি এসেছিল। এ বছর সেই সংখ্যা ৮ হাজার ২০০। পরিবেশ মন্ত্রী মানস ভুঁইয়ার কথায়, “এর জন্য অনেকখানি দায়ী এই দূষণ হ্রাস। প্রতিটি পুরসভায় স্ক্রিন বসাচ্ছে পরিবেশ দপ্তর। যেখানে দেখা যাবে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স বা বায়ুর গুণমান মাত্রা। বাতাসের গুণমান সূচক দেখে এলাকার বাসিন্দারা বুঝতে পারবেন কী অবস্থায় রয়েছে তাঁর এলাকা।”
এদিকে ফি-বছর বইমেলায় অগুনতি মানুষ আসেন। প্রচুর প্লাস্টিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে মাঠে। পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ডকে চিঠি দিয়েছে পরিবেশ দপ্তর। যাতে লেখা, “প্লাস্টিকের ব্যাগ যেন কম ব্যবহার হয়। ধুলো যেন নিয়ন্ত্রণে থাকে।’ এদিন পরিবেশ মন্ত্রী ছাড়াও সাংবাদিক সম্মেলনে হাজির ছিলেন রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের চেয়ারম্যান কল্যাণ রুদ্র, প্রধান সচিব রোশনি সেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.