Advertisement
Advertisement

শূন্যে ভেসেও নিশ্চিন্তে সারুন শৌচকর্ম, তৈরি হয়েছে প্রায় আড়াই কোটির বহুমূল্য শৌচালয়!

কী কারণে এত দামি শৌচালয়, পড়ুন বিস্তারিত।

Use $23m worth toilet in space, NASA makes this expensive toilet for astronauts| Sangbad Pratidin
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:October 3, 2020 6:17 pm
  • Updated:October 3, 2020 6:37 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সকালে ঘুম ভাঙার সকলেরই শৌচালয়ে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু এমন যদি হয় যে আপনি শৌচালয়ে (Toilet) গিয়েও প্রাতঃকৃত্যটি সারতে পারছেন না? না পেটের কোনও সমস্যা এর জন্য দায়ী নয়। তাহলে? ভাবছেন, এ আবার হয় নাকি? নিশ্চয় হয়। তবে পৃথিবীতে থাকাকালীন মোটেই এই সমস্যায় পড়বেন না। মহাশূন্যে একবার ভেসে গেলেই শৌচকর্ম অনেকটা কঠিন হয়ে যায়।

এবার নভোচরদের সেই সমস্যা সমাধানের পথে। জানা গিয়েছে, প্রায় আড়াই কোটি ডলার খরচে মহাশূন্যে ব্যবহারের জন্য তৈরি হয়েছে বহুমূল্য টাইটানিয়ামের (Titanium) তৈরি শৌচালয়। তা নিয়ে ইতিমধ্যে নাসা থেকে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে পাড়ি দিয়েছে ‘কল্পনা চাওলা’র নামাঙ্কিত একটি রকেট।

Advertisement

[আরও পড়ুন: শেষ মুহূর্তে ‘অজ্ঞাত’ সমস্যা, ‘কল্পনা চাওলা’র নামাঙ্কিত রকেট উৎক্ষেপণ স্থগিত করল নাসা]

গত ২৯ সেপ্টেম্বর রসদ নিয়ে ISS’এ রওনা হওয়ার কথা ছিল নাসার (NASA) এই রকেটটির। তার কাজই ছিল, আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে এগুলো পৌঁছে দেওয়া। সেই রসদের তালিকায় ছিল এই বিশেষ ধরনের শৌচালয়। কিন্তু শেষ মুহূর্তে রকেটটিতে অজ্ঞাত সমস্যা দেখা দেওয়ায় উৎক্ষেপণ স্থগিত হয়ে যায়। কিন্তু শুক্রবার রাতেই তা ফের রসদ সমেত সফলভাবে উৎক্ষেপণ করা হয়। সোমবার রকেটটি পৌঁছবে স্পেস স্টেশনে। নাসার পক্ষ থেকে টুইট করে একথা জানানো হয়েছে।

 

গত বছর স্পেস স্টেশনের দুটি শৌচালয় অকেজো হয়ে পড়ায় ডায়াপারই ভরসা হয়ে পড়েছিল নভোচারীদের। এই দুটি শৌচালয়ই তৈরি করেছিল রাশিয়া। সেইসঙ্গে মহাকাশে বর্জ্য নিষ্কাশনের বিষয়টি নিয়েও বাড়ছিল চিন্তা। মহিলা নভোচারীরা বিশেষভাবে অসুবিধায় পড়েছিলেন।

[আরও পড়ুন: ৬০ শতাংশ করোনা সংক্রমণ ছড়াচ্ছেন ‘সুপার স্প্রেডার’রা, সতর্ক করলেন গবেষকরা]

শেষমেশ ওজনে অতি হালকা, উচ্চপ্রযুক্তিসম্পন্ন টাইটানিয়ামের শৌচালয় তৈরি হয়েছে। প্রযুক্তির কারণে এর বর্জ্য নিষ্কাশন পদ্ধতিও উচ্চমানের বলে দাবি নাসার। স্পেস স্টেশনে যথাযথভাবে এই শৌচালয়টিকে স্থাপন করতে হবে। তারপরই চিন্তামুক্ত। সব ঠিকঠাক চললে নাসার পরিকল্পনা, আগামীতে চাঁদ এবং মঙ্গলে মহাকাশচারী পাঠানো হলে, তাঁরাও এ ধরনের শৌচালয়ই ব্যবহার করবেন। এখন সেই লক্ষ্যেই এত দামি শৌচাগার তৈরি। তবে তা কেমন কাজ করছে, আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন থেকেই তার রিপোর্ট মিলবে।

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement