ফাইল ফটো
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কিনডি নিয়ে ভোগান্তি কিংবা হার্টের সমস্যা অনেকেরই রয়েছে। এমনকী মারণ রোগ ক্যানসার নিয়েও অনেক বছর বেঁচে থাকতে পারে মানুষ। কিন্তু এই সমস্ত রোগকে উসকে দিচ্ছে নোভেল করোনা ভাইরাস (Coronavirus)। তাও আবার একটু-আধটু নয়, একেবারে ১২ গুণ। মার্কিন গবেষণায় উঠে এল এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য।
আমেরিকার সেন্টার্স ফর ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (CDC) একটি গবেষণায় সামনে এসেছে এমন তথ্য। ২২ জানুয়ারি থেকে ৩০ মে’র মধ্যে ১৩ লক্ষ আক্রান্ত ও ১ লক্ষ ৩ হাজারের বেশি মৃত্যুর সংখ্যা পর্যালোচনা করে দেখা গিয়েছে, যাঁদের হার্টের রোগ কিংবা ডায়বেটিসের সমস্যা ছিল, এমন প্রতি পাঁচজনে একজন করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন। অর্থাৎ কো-মর্বিডিটির কারণে করোনা আক্রান্তের মৃত্যুর হার ১৯.৫ শতাংশ। যেখানে কেবলমাত্র করোনার বলির হার ১.৬ শতাংশ। একইরকম ভাবে যাঁদের অন্যান্য রোগ রয়েছে, অথচ শরীরে ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটেছে, এমন রোগীর হাসপাতালে ভরতির হার ৪৫.৪ শতাংশ। সেখানে অন্য রোগমুক্ত করোনা আক্রান্তের হাসপাতালে ভরতির হার ৭.৬ শতাংশ। এ থেকেই স্পষ্ট যে, শরীরে অন্যান্য রোগ থাকলে মৃত্যুর সম্ভাবনা যেমন ১২ গুণ বেড়েছে, তেমনই চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভরতির প্রয়োজন বৃদ্ধি পাচ্ছে ৬ গুণ।
তবে শুধু অন্যান্য রোগ থাকলেই যে মৃত্যুর হার বাড়ছে, তা নয়। এক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করছে বয়স। ৮০ বছর এবং তার বেশি বয়সের রোগীদের মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। তবে ৩৯ বছরের উর্ধ্বে যাদের বয়স এবং অন্যান্য রোগ আছে, এমন COVID-19 রোগীদের হাসপাতালে ভরতির হারও (চার গুণ) উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে মার্কিন মুলুকে।
CDC-র গবেষণা বলছে, শুধু আমেরিকাই নয়, ভারত-সহ বিশ্বের একাধিক দেশেই কো-মর্বিডিটির ক্ষেত্রে করোনা রোগীর মৃত্যু ও হাসপাতালে ভরতির মাত্রা তুলনামূলক অনেকটাই বেশি। গবেষণার আরও দাবি, ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ভারতে ৩৩ হাজার ৫০ জন আক্রান্তের মধ্যে ৭৮ শতাংশ অর্থাৎ পাঁচজনের মধ্যে চারজন করোনা আক্রান্তেরই অন্যান্য রোগ রয়েছে। এক্ষেত্রে আবার পুরুষ সংক্রমিতের সংখ্যা বেশি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.