সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাকেশ শর্মা (Rakesh Sharma)। আজকের প্রজন্মের কাছে এক বিস্মৃতপ্রায় নাম। অথচ ১৯৮৪ সালে এদেশের সর্বত্র আলোচিত হয়েছিল তাঁরই নাম। ২১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট তিনি মহাকাশে কাটিয়েছিলেন। প্রথম ভারতীয় হিসেবে মহাশূন্যে থাকার নজির গড়া মানুষটি এবার ডাক দিলেন ‘মহাকাশ রেস’ থেকে সরে এসে বিশ্বের সব দেশ যেন একসঙ্গে মিলে মহাকাশে মানুষের জয়যাত্রা লিখে রাখে।
কী বলছেন রাকেশ (Rakesh Sharma)? বর্ষীয়ান মহাকাশচারীর কথায়, ”মহাকাশে পৌঁছলে তার সৌন্দর্য আপনার চোখে পড়বেই। পাশাপাশি এও নজরে আসবে কোনও সীমান্তরেখা সেখান থেকে দৃশ্যমান নয়। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে আমরা এই সংঘর্ষের বৃত্তকে ভাঙতে পারছি না। এর প্রধান কারণ দুর্বলের উপরে সবলের অত্যাচার। আসলে সম্পদের বিতরণে কোনও সাম্য ছিল না। তাই আমার মতে, সমস্ত দেশের মানুষের আর্থ-সামাজিক মান উন্নত করার জন্য মহাকাশকে ব্যবহার করা যেতে পারে। আমি মনে করি ইসরো তার কাজের মধ্যে দিয়ে এই বার্তা তুলে ধরতে পেরেছে। সমস্ত মহাকাশপ্রেমী দেশ একযোগে কাজ করুক। প্রতিযোগিতায় না মেতে। মহাকাশের যে তথ্যই হাতে আসুক তা সকলে ভাগ করে নিলে সেটা মানব সভ্যতারই উপকারে আসবে। রাষ্ট্রসংঘ এমনটাই চেয়ে এসেছে। বরাবরই জানিয়ে দিয়েছে, মহাকাশ গোটা মানব সভ্যতার।”
মহাকাশে একসময় নিরনত্র প্রতিযোগিতা করে গিয়েছে সোভিয়েত ও আমেরিকা। এই মুহূর্তে রাশিয়া, মার্কিন মুলুক ছাড়াও চিন, ভারত এমনকী সৌদি আরবও মহাকাশ অভিযানে নজির গড়েছে। এই পরিস্থিতিতে অন্তরীক্ষে সবাইকে একযোগে এগিয়ে চলার বার্তাই দিলেন ভারতের ‘স্পেসম্যান’ রাকেশ শর্মা। প্রসঙ্গত, বিশ্বের ১২৮তম ও ভারতের প্রথম ব্যক্তি হিসেবে রাকেশ শর্মাকে মহাকাশে পাঠানো হয় দুই রুশ নভোচরের সঙ্গে। সেই সময় গোটা বিশ্বের নজর কেড়েছিলেন তিনি। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে চমৎকৃত করেছিলেন মহাকাশ থেকে ভারতকে দেখে ‘সারে জাঁহা সে আচ্ছা’ মনে হচ্ছে বলে। এবার রাকেশ মহাকাশকে ঘিরে শান্তির বার্তা দিয়ে মুগ্ধ করলেন সকলকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.