Advertisement
Advertisement

Breaking News

গাছ

পরিবেশ রক্ষায় আলাদা উদ্যোগ নয়, চাঁদ সদাগরের দেখানো পথেই আজও গ্রামে গাছ মেলা

সব ধরনের দেশীয় ফলের উন্নত মানের চারা বিক্রি হয় মেলায়।

Tree fair at Purbasthali,Burdwan spreads awarness on environment
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:August 19, 2019 5:21 pm
  • Updated:August 19, 2019 5:22 pm  

রিন্টু ব্রহ্ম, কালনা: গাছেদের মেলা, মেলা গাছ। পরিবেশকে সবুজ রাখতে ইদানীং বৃক্ষরোপণে প্রচার চলছে। সরকারি, বেসরকারি উদ্যোগে গাছের গুরুত্ব বোঝানো হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। গাছ বিলি, গাছ লাগিয়ে পরিবেশ রক্ষায় বার্তা দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে পরিবেশের ঘোর সংকটের সময় তা অনেকটা কাজেও লাগছে। 

[আরও পড়ুন: হিমালয়ের শীর্ষে নতুন লেক! সর্বোচ্চ হ্রদের তকমা পাওয়ার যুদ্ধে নেপালের কাজিন সারা]

কিন্তু বর্ধমানের পূর্বস্থলী-১ নং ব্লকের ভাণ্ডারটিকুরি গ্রামে আজকের এই সচেতনতা প্রচার কোনও ছাপই ফেলে না। কারণ, সেখানে শতাধিক বছর আগে থেকেই পরিবেশ রক্ষায় প্রতি বছর বসে গাছ মেলা। শুধু গাছের জন্য, শুধু পরিবেশ বাঁচানোর জন্য। পরম্পরা মেনে আজও পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলী-১ ব্লকের ভাণ্ডারটিকুরি গ্রামে প্রতি বছর নিয়ম করে বসে মেলা। উপলক্ষ অবশ্য একটা আছে। গ্রামের ব্রহ্মাণীদেবীর পুজো। কিন্তু সেই পুজোর আনন্দকেও ছাপিয়ে যায় গাছের মেলা।

Advertisement

ব্রহ্মাণীদেবী আদতে দেবী মনসা। তাঁরই পুজো হয় ভাণ্ডারটিকুরি গ্রামে। আর তাকে কেন্দ্র করেই বসে এই মেলা। আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু, জামরুল, নারকেল, সুপারি, চালতা, হরিতকী, লেবু, আমড়া থেকে শুরু করে প্রায় সব ধরনের দেশীয় ফলের উন্নত মানের চারা বিক্রি হয় এখানে। এছাড়া বিভিন্ন ফুলের চারাও বিক্রি হয়। বহু দূরদূরান্ত থেকে মানুষজন মেলায় হাজির হন উন্নত মানের ফুল-ফলের চারা কেনার জন্য। 

gachh-mela2

এবারও যার ব্যতিক্রম ঘটেনি। গাছ মেলাকে কেন্দ্র করে একদিকে যেমন বাণিজ্য চলে, তেমনই পরিবেশ রক্ষার কাজটিও হয়ে থাকে গাছ কেনাবেচায়। মেলা কমিটির সভাপতি তথা স্থানীয় জাহাননগর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সুভাষ ঘোষ জানান, এই মেলা ‘গাছ লাগাও, প্রাণ বাঁচাও’ স্লোগানকে বাস্তবায়নের পথ দেখাচ্ছে যুগ যুগ ধরে। এই মেলাকে তাঁরা এগিয়ে নিয়ে চলেছেন। প্রতি বছর বহু মানুষ আসেন। প্রচুর সংখ্যায় গাছ বিক্রি হয়।

সুভাষবাবু জানান, সেই সঙ্গে পরিবেশ ও জল সংরক্ষণ নিয়েও মেলা থেকে তাঁরা বার্তা দিচ্ছেন। ভাণ্ডারটিকুরির এই মেলা নিছকই এক গ্রাম্য মেলা নয়, রাজ্যে পরিবেশ রক্ষায় অন্যতম দৃষ্টান্তও বলে দাবি করেছেন সুভাষবাবু। রাজ্যের ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বলেন, “আজ আমরা পরিবেশ রক্ষার কথা বলছি। গাছ লাগাতে বলছি, গাছের চারা বিলি করছি। কিন্তু সেই কবে চাঁদ সদাগরের আমল থেকে ভাণ্ডারটিকুরি গ্রামে গাছকে কেন্দ্র করেই মেলা হচ্ছে। ভাবা যায়!’ সত্যি ভাবা যায় না। তখনকার মানুষের দেখানো পথে যদি হেঁটে যাওয়া যেত, তাহলে আজ পৃথিবীকে এতটা সংকটে পড়তে হত না।

[আরও পড়ুন:প্রাকৃতিকভাবেই জল পরিশোধনে বড় ভূমিকা এই সামুদ্রিক প্রাণীটির, চলছে আরও গবেষণা]

ছবি: মোহন সাহা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement