সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতের বিরাট অংশ ঢাকা পড়েছে বিষাক্ত ধোঁয়াশায়। বায়ুদূষণের মাত্রা সীমানা ছাড়িয়ে অনেক দূর পৌঁছে গেলে তবেই এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়। স্বাভাবিক ভাবেই কৃত্রিম উপগ্রহের তোলা নাসার প্রকাশিত এই ছবি দেখে শিউরে উঠছেন পরিবেশপ্রেমীরা। একই পরিস্থিতি পাকিস্তানেরও।
সম্প্রতি নাসা বেশ কয়েকটি ছবি প্রকাশ করেছে। উপগ্রহ থেকে তোলা ছবিগুলিতে ভারত ও পাকিস্তানের ইন্দো-গাঙ্গেয় সমতলের জনঘনত্বপূর্ণ অঞ্চলকে দেখা যাচ্ছে। প্রতিবছরই খড় পোড়ানো ধোঁয়া দেখা যায় এই এলাকাগুলিতে। দূষণের চাদরে মুখ ঢাকে এলাকা। সেই দূষণ যে কতটা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে তা পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে মহাশূন্য থেকেও।
জানা যাচ্ছে, পাঞ্জাবে ফসলের গোড়া পোড়ানোর চিহ্ন ৭ হাজার পেরিয়েছে! এক মধ্যে কেবল গতকাল, সোমবারেই নতুন করে ৪১৮টি চিহ্ন আবিষ্কার করা গিয়েছে। চণ্ডীগড়ের একিউআই পৌঁছেছে ‘অতি মারাত্মক’ ক্যাটাগরিতে। একই অবস্থা উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, দিল্লির মতো আশপাশের রাজ্যগুলিতেও। দিল্লি দূষণের জেরে সুপ্রিম কোর্টের তোপের মুখেও পড়তে হয়েছে কেন্দ্রকে। দিল্লির দুই পড়শি রাজ্য পঞ্জাব ও হরিয়ানায় শস্যের গোড়া পোড়ানোর জন্যই বাতাসের গুণগত মান খারাপ হচ্ছে বলে মনে করছে সুপ্রিম কোর্ট।
একই অবস্থা পাকিস্তানেরও। পাক পাঞ্জাব প্রদেশে নানা কড়াকড়ি সত্ত্বেও রোখা যায়নি দূষণ। বহু জায়গায় ফসলের গোড়া পোড়ানো থেকে সন্ধের মুখেই দোকান, বাজার বন্ধের নির্দেশ সবই দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ফল মেলেনি। আর তার চাক্ষুষ প্রমাণ দিচ্ছে কৃত্রিম উপগ্রহগুলির তোলা ছবি। অক্টোবরের শেষে উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন দাবি করেছিল, গাজিয়াবাদ, নয়ডা ও গ্রেটার নয়ডায় বাতাসের গুণগতমান এত খারাপ হওয়ার পিছনে দায়ী পাকিস্তান। সীমান্তের ওপারে ব্যাপকভাবে খড় পোড়ানো হচ্ছে। যার জেরেই বিষাক্ত ধোঁয়া চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ছে। পরিস্থিতির ‘হাতেগরম’ প্রমাণ দিল নাসা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.