Advertisement
Advertisement

Breaking News

Tonga

হিরোশিমা বিস্ফোরণের চেয়ে ১০০ গুণ বেশি ভয়ংকর টোঙ্গার অগ্ন্যুৎপাত! দেখাল নাসার উপগ্রহ চিত্র

অগ্ন্যুৎপাত-সুনামিতে উদ্ভুত শক্তির পরিমাণ ৫ থেকে ৩০ মেগাটন, অনুমান বিজ্ঞানীদের।

Tonga Volcanic eruption equivalent to hundreds of Hiroshima atomic blast, syas NASA | Sangbad Pratidin
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:January 24, 2022 6:23 pm
  • Updated:January 24, 2022 6:23 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দীর্ঘদিন লাভা জমে জমে একদিন আচমকা অগ্ন্যুৎপাত (Volcanic erruption)। তার জেরে সুনামি, টলমল গোটা দ্বীপ, চরম বিপর্যয়। দিন দশেক আগে ঠিক এমনই পরিস্থিতি হয়েছিল প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ টোঙ্গার (Tonga)। বিশ্বের একাংশের সঙ্গে বেশ কয়েকদিন সংযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন ছিল এই দ্বীপপুঞ্জের। সেই ধাক্কা সামলানোর পরও ভূতাত্ত্বিক বিশেষজ্ঞরা এত অগ্ন্যৎপাত ও সুনামির সঠিক উৎস খুঁজে না পাওয়ায় আক্ষেপ করছিলেন। তবে নাসার উপগ্রহ চিত্রের মাধ্যমে সামনে এল সেই বিপর্যয়ের ভয়াবহতা, যা আমাদের আন্দাজের তুলনায় ঢের ঢের বেশি। টোঙ্গা অগ্ন্যুৎপাতে ছবি বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, হিরোশিমায় (Hiroshima) পারমাণবিক বিস্ফোরণে যে পরিমাণ শক্তি উৎপন্ন হয়েছিল, তার চেয়ে ১০০ গুণ বেশি শক্তি তৈরি হয়েছে এই অগ্ন্যুৎপাতে!

Tonga could be cut off from rest of the world for weeks after tsunami

Advertisement

গত ১৫ জানুয়ারি উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়েছিল প্রশান্ত মহাসাগর লাগোয়া ছোট্ট দ্বীপদেশের ভয়াবহ ছবি। দেখা গিয়েছিল, দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে গর্ভে থাকা হাঙ্গা টোঙ্গা হাঙ্গা হোপাই নামে আগ্নেয়গিরি জেগে উঠেছে। শুরু হয় অগ্ন্যুৎপাত। এলাকা ঢেকে যায় কালো ছাই ও ধোঁয়ায়। এই লাভা উদগীরণের জেরে আশপাশের সমুদ্রতলে বিশাল আলোড়নের জেরে সুনামির (Tsunami) উৎপত্তি। টোঙ্গা উপকূলে আছড়ে পড়তে থাকে অতিকায় সব ঢেউ। রাতারাতি সৃষ্টি হয় বন্যা পরিস্থিতি। জোড়া বিপর্যয়ের জেরে কেবল, ইন্টারনেট পরিষেবা – সমস্ত বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় কার্যত একলা হয়ে যায় প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপদেশ টোঙ্গা। প্রতিবেশী দ্বীপ ফিজির (Fiji) সঙ্গে টোঙ্গার সংযোগকারী ৮২৭ কিমি দীর্ঘ কেবল লাইন ধ্বংস হয়ে যায়।

[আরও পড়ুন: গিলে নেওয়ার বদলে তারার জন্ম দিচ্ছে ব্ল্যাক হোল! আশ্চর্য দৃশ্য দেখাল হাবল]

টের পাওয়া গিয়েছিল তার ভয়াবহতা। আর এবার নাসার উপগ্রহ চিত্র বিশ্লেষণ করে আরও বিস্মিত বিজ্ঞানীরা। যতটা বিপদ বলে মনে করা হচ্ছিল, তার চেয়ে অনেক বেশি বিপর্যয় নেমে এসেছিল টোঙ্গায়। বলা হচ্ছে, জাপানের হিরোশিমায় পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরণের চেয়ে ১০০ গুণ বেশি ভয়ংকর ছিল টোঙ্গার অগ্ন্যুৎপাত! রাজধানী নুকু’আলোফায় (Nuku’alofa) বিষাক্ত ছাই আর জলের স্তরে ঢেকে গিয়েছে। দুটি দ্বীপ সম্পূর্ণ অস্তিত্বহীন হয়ে গিয়েছে। নাসার বিজ্ঞানী জিম গারভিন প্রেস বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, অগ্ন্যুৎপাত-সুনামির জোড়া বিপর্যয়ে উদ্ভূত শক্তির পরিমাণ ৫ থেকে ৩০ মেগাটন বলে আন্দাজ করা হচ্ছে। ১৯৪৫ সালে হিরোশিমায় পরমাণু বিস্ফোরণে ১৫ কিলোটন TNT শক্তি নির্গত হয়েছিল।

[আরও পড়ুন: পৃথিবীর বুকেই চন্দ্রপৃষ্ঠের পরিবেশ, ‘কৃত্রিম চাঁদ’ তৈরি করছে চিন]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement