সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতের আয়তনের চেয়ে ৮ গুণেরও বেশি বড় ছিদ্র ওজোন স্তরে (Ozone hole)! প্রায় আড়াই কোটি বর্গ কিলোমিটারের ছিদ্র সৃষ্টি হয়েছে পৃথিবীর উপরের ওজোন স্তরে। গত চার দশকে ওজোন স্তরে যত বড় ছিদ্র দেখা গিয়েছে এটি আকারে তাদের মধ্যে অন্যতম বৃহৎ। এমনই আশঙ্কাজনক তথ্য জানিয়েছে নাসা। উল্লেখ্য, গত বছরও ওজোন স্তরে এমনই বড় ছিদ্র দেখা গিয়েছিল।
প্রতি বছরই ওজোন স্তরের ছিদ্রের দিকে নজর রাখেন বিজ্ঞানীরা। তবে আশার কথা, অক্টোবর থেকে ফের সংকুচিত হতে শুরু করেছে ওই ছিদ্র। তবে মনে করা হচ্ছে, নভেম্বর তো বটেই ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত ওই ছিদ্রটি অবস্থান করবে। কেন এত বড় ছিদ্র ওজোন স্তরে। নাসার (NASA) তরফে জানানো হয়েছে, স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারের গড়পড়তা যা তাপমাত্রা, এবার তার থেকে কম তাপমাত্রা থাকার কারণেই এত ব্যাপক আকারের ছিদ্র দেখা গিয়েছে।
এমনিতে প্রতি বছরই অ্যান্টার্কটিকার উপরিস্থিত স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারের ওজন স্তর পাতলা হতে শুরু করে সেপ্টেম্বরে। মানুষ উৎপাদিত যৌগ থেকে প্রাপ্ত ক্লোরিন ও ব্রোমিনের রাসায়নিক ভাবে সক্রিয় রূপ বাতাসে মেশার কারণেই এই পরিস্থিতির উদ্ভব হয়। এর ধাক্কাতেই ওজন স্তরে ছিদ্রটি ক্রমশ বাড়তে থাকে। কিন্তু সম্প্রতি লক্ষ করা যাচ্ছে, এই ছিদ্রটি আগে যত তাড়াতাড়ি সংকুচিত হত, এখন সেই সময়সীমা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে।
ওজোন স্তরের ছিদ্র নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই মাথাব্যথা বিজ্ঞানীদের। ১৯৮৭ সালে ১৬ সেপ্টেম্বর বায়ুমণ্ডলের ওজোন স্তর সুরক্ষার জন্য মন্ট্রিল প্রটোকল মেনে চলার সংকল্প করে পৃথিবীর সব দেশ। কিন্তু অভিযোগ, উন্নত দেশগুলি সেই অর্থে তা মেনে চলছে না। ফলে বিপন্মুক্তি এখনও সম্ভব হয়নি। ফলে উদ্বেগ বাড়ছে। করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউনের ধাক্কায় ছিদ্র খানিক মেরামতি হলেও ভয়ের কারণ রয়েই গিয়েছে। উল্লেখ্য, ওজোন স্তরের ছিদ্র দিয়েই প্রবেশ করে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি। যা পৃথিবীতে পৌঁছলে নানা ক্ষতির আশঙ্কা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.