সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সেই উত্তরাখণ্ড! ঠিক যেন জিম করবেটের লেখা গল্পের ‘দ্য ম্যান ইটার অফ রুদ্রপ্রয়াগ’। দিন কয়েক আগে চামোলি জেলায় এক কিশোরীর উপর হামলা চালায় শ্বাপদ। মেয়েটির মৃত্যুর পর মানুষের রক্তের স্বাদ পেয়ে নরখাদক হয়ে উঠেছিল ওই চিতাবাঘ। ৩০ জুন ‘মানুষখেকো’ ঘোষণা করা হয় ওই চিতাবাঘকে। তারপরই তাঁর মৃত্যু পরোয়ানা সই হয়ে যায়। তারপর শনিবার উত্তরাখণ্ডের বদ্রিনাথ রেঞ্জের বনবিভাগের আধিকারিকরা ‘মানুষখেকো’ চিতাবাঘকে গুলি করে মারে।
বদ্রীনাথ রেঞ্জের বিভাগীয় বনকর্তা (DFO) আশুতোষ সিং জানান, ৩০ জুন চিতাবাঘটিকে ‘মানুষখেকো’ ঘোষণা করা হয়েছিল। তার ঠিক আগের দিন চিতাবাঘটি আরও একজনকে মেরে ফেলে। বছর বারোর কিশোরী ছিল ওই চিতাবাঘের দ্বিতীয় শিকার। বদ্রীনাথ বন বিভাগে এ বছর এখনও পর্যন্ত এই একটি ‘মানুষখেকো’ চিতাবাঘকেই খতম করা হয়েছে। আশুতোষ সিংয়ের কথায়, ২৯ জুন ওই চিতাবাঘটি যখন দ্বিতীয় মানুষকে শিকার করে, তখন অপেক্ষা না করে তিনি মুখ্য বন্যপ্রাণ ওয়ার্ডেনকে চিঠি লেখেন। অনুরোধ করেন, চিতাবাঘটিকে ‘মানুষখেকো’ ঘোষণা করতে। পরেরদিন অনুমতি মেলে। শনিবার বনদপ্তরের ভাড়াটে শুটার বদ্রীনাথ ফরেস্ট ডিভিশনের নারায়ণবাগারে চিতাবাঘটিকে গুলি করে।
চিতাবাঘটি গত ২৮ মে বদ্রীনাথে প্রথম একটি মানুষের শিকার করে। এদিকে, আলমোরা বনবিভাগে আরও এক চিতাবাঘকে ‘মানুষখেকো’ ঘোষণা করা হয়েছে। ৮ জুলাই ওই বনবিভাগের উদাল এরিয়ায় চিতাবাঘটির হামলায় বছর দুয়েকের এক শিশু মারা যায়। তার পরের দিন আরও একজনকে শিকার করে। চিতাবাঘ মারতে উত্তরপ্রদেশ থেকে দুই ভাড়াটে শিকারি আনা হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.