সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিনি মারা গিয়েছেন বছর তিনেক আগে। কিন্তু তাঁর মণীষার শ্রেষ্ঠত্ব আজও প্রমাণ হয়ে চলেছে। সম্প্রতি ব্ল্যাক হোল সংক্রান্ত তাঁর পূর্বাভাস সত্যি প্রমাণিত হয়েছে। ফের বিজ্ঞান জগতে জয়জয়কার বিশ্বের সর্বকালের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিংয়ের (Stephen Hawking)। ১৯৭১ সালে আইনস্টাইনের বিখ্যাত ‘থিয়োরি অফ রিলেটিভিটি’ অবলম্বনে ব্ল্যাক হোল তথা কৃষ্ণ গহ্বর সংক্রান্ত এক ভবিষ্যদ্বাণীতে হকিং দাবি করেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ব্ল্যাক হোলের ( Black hole) চেহারা সঙ্কুচিত হওয়ার কোনও সম্ভাবনাই নেই। ৫০ বছর পরে হাতেনাতে প্রমাণ মিলল হকিংয়ের সেই দাবির।
স্টিফেন হকিংয়ের অন্যতম বিখ্যাত এক প্রতিপাদ্য হল বিপুল দূরত্বে অবস্থিত দুই ব্ল্যাক হোলের পরস্পরের আকর্ষণে ‘স্পেস-টাইম’ অর্থাৎ ‘সময়-স্থান’-এর কারণ। সেই প্রতিপাদ্যের সঙ্গে ব্ল্যাক হোলের চরিত্র নির্ধারণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। মনে করা হয়, ব্রহ্মাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করতে গেলে ব্ল্যাক হোল সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানা প্রয়োজন। ব্ল্যাক হোলের ‘এরিয়া রুল’ তথা সীমানা সংক্রান্ত ধারণা তার মধ্যে অন্যতম। হকিং জানিয়েছিলেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ব্ল্যাক হোল ক্রমেই বড় হয়। তার সীমানার মধ্যে নক্ষত্র কিংবা গ্যাসীয় মেঘ চলে এলে কারও রক্ষা নেই। বিপুল আকর্ষণে তাকে নিজের ভিতরে টেনে নেয় ব্ল্যাক হোল। তার ফলে ব্ল্যাক হোলের শরীরের ভিতরে যে ঘূর্ণি সৃষ্টি হয় তা থেকে তার ওজন কমে সে আয়তনে ছোটও হতে পারে। এমন একটা ধারণা ছিল বিজ্ঞানীদের। সেটাই অস্বীকার করেছিলেন হকিং। অবশেষে মিলল প্রত্যক্ষ প্রমাণ।
‘ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি’-র গবেষক দল প্রমাণ পেয়েছে দু’টি ব্ল্যাক হোলের মধ্যে সংঘর্ষে তাদের এক হয়ে হয়ে যাওয়ার। ঘটনাটি আজ থেকে কয়েকশো কোটি বছর আগের। এতদিন পরে পৃথিবীতে এসে পৌঁছেছে সেই তরঙ্গ।
তবে আজ নয়। আজ থেকে ৬ বছর আগেই সেই তরঙ্গ এসে পৌঁছেছিল। এতদিন তা নিয়েই চলছিল গবেষণা। আর তাতে দেখা গিয়েছে, নতুন ব্ল্যাক হোলটি আকারে বড় হয়ে গিয়েছে। ফলে হকিংয়ের থিয়োরির সত্যতা পরিষ্কার হয়ে গেল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.